শুয়েও শান্তি নেই। অফিসের চাপ সামলে বাড়ি এলেন বটে, কিন্তু মাথায় কাজের চিন্তা। গোটা একটা দিন হাতে পেলেও কিছুতেই সময়ের কাজ সময়ে করে উঠতে পারছেন না। কখন কোন কাজ করলে সব দিক সামাল দেওয়া যাবে, সেই চিন্তায় রাতের ঘুম উড়ে যাচ্ছে। বিনিদ্র রাত কাটিয়ে সকালে ঘুম ভাঙছে একরাশ ক্লান্তি নিয়ে। তাতে কাজের গতিও কমছে। কোনও কিছুতেই মন বসছে না। যোগ প্রশিক্ষকেরা বলছেন, এই ক্লান্তি দূর করার উপায় রয়েছে আসনে।
‘আনন্দ’ শব্দটির অর্থ সকলেই জানেন। সংস্কৃতে ‘বাল’ শব্দের অর্থ ‘শিশু’। অর্থাৎ, আনন্দ-আহ্লাদ হলে শিশুরা যেমন ভাবে থাকে, ঠিক তেমন হবে এই আসনের ভঙ্গি। অনেকে এই ভঙ্গিকে ‘হ্যাপি বেবি পোজ়’ নামেও চেনেন।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে করবেন?
· প্রথমে ম্যাটের উপর সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার দু’টি পা বুকের কাছাকাছি নিয়ে আসুন।
· পায়ের পাতা থাকবে ঘরের ছাদে দিকে। খেয়াল রাখবেন মেরুদণ্ডের একেবারে শেষ অংশটি (টেল বোন) যেন মাটি ছুঁয়ে থাকে। এ বার দু’হাত দিয়ে দু’পায়ের পাতা ধরে রাখুন।
· এই অবস্থাতেই দু’টি হাঁটু ধীরে ধীরে দু’দিকে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। শ্বাস-প্রশ্বাস একেবারে স্বাভাবিক থাকবে।
· কোমরের অংশ থেকে দু’হাতে পায়ের পাতা ধরে রেখেই ধীরে ধীরে কোমরের অংশ থেকে এক বার বাঁ দিকে, এক বার ডান দিকে নিয়ে যেতে পারেন। অনেকটা বাচ্চাদের দোল খাওয়ার মতো। এই আসন বার পাঁচেক অভ্যাস করতে পারেন।
আরও পড়ুন:
কেন করবেন?
ঊরুর ভিতরের অংশ, হ্যামস্ট্রিং টান টান রাখতে সাহায্য করে আনন্দ বালাসন। মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বজায় রাখে। দেহের ভারসাম্য ধরে রাখতেও সাহায্য করে এই আসন।
আরও পড়ুন:
সতর্কতা:
ঘাড়, কোমর, হাঁটু, নিতম্বে কোনও ভাবে চোট-আঘাত লেগে থাকলে এই আসন অভ্যাস করতে যাবেন না। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেও এই আসন করা নিষিদ্ধ।