ঘরে-বাইরে কাজের চাপ সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। সপ্তাহান্তে একটা ছুটির দিন। অনেক কিছু করবেন বলে পরিকল্পনা করেন। কিন্তু বেশির ভাগ সময়টা শুয়েই কেটে যায়। আলাদা করে কিছুই করতে বা কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না। তাতেও যে শারীরিক ধকল বা মানসিক উদ্বেগ পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারছেন, তা-ও নয়। শরীরচর্চা করলে এ সব ক্ষেত্রে লাভই হয়। তবে কোনটি বেশি কার্যকরী? যোগ প্রশিক্ষকেরা বলছেন, নিয়ম করে যদি তাড়াসন অভ্যাস করা যায়, তা হলে সহজেই শরীর-মন ফুরফুরে করে তোলা সম্ভব।
সংস্কৃতে ‘তাড়া’ কথাটির অর্থ হল পর্বত। অর্থাৎ এই আসনে দেহের ভঙ্গি হবে অনেকটা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা সুবিশাল পর্বতের মতো। ইংরেজিতে তাই একে ‘মাউন্টেন পোজ়’-ও বলা হয়।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে করবেন?
· প্রথমে ম্যাটের উপর সোজা হয়ে দাঁড়ান। পায়ের পাতার মধ্যে দুই ইঞ্চি দূরত্ব রাখুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন।
· হাত দু’টি দু’পাশ থেকে তুলে, কনুই ভাঁজ করে নিয়ে যান মাথার পিছন দিকে। এ বার দু’হাতের আঙুল একত্রিত করুন। হাতের তালু রাখুন মাথার পিছন দিকে।
· এ বার শ্বাস নিতে নিতে হাত দু’টি মাথার উপর দিয়ে প্রসারিত করুন। হিল জুতো পরার মতো পায়ের গোড়ালি মাটি থেকে উপর দিকে তুলুন। মাটির সঙ্গে শুধুমাত্র আঙুলের অংশ স্পর্শ করে থাকবে। এই অবস্থায় গোটা শরীরেই টান অনুভব করবেন। ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড এই অবস্থানে থাকুন।
· পায়ের পাতার উপর গোটা শরীরের ভার বহন করতে হবে। যদি বেশি ক্ষণ পায়ের পাতার উপর দাঁড়িয়ে থাকতে না পারেন, তা হলে আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসবেন।
· এই অবস্থায় ৩ থেকে ১০ বার শ্বাস নিন। এ বার গোড়ালি ধীরে ধীরে মাটির উপর রাখুন। শ্বাস ছেড়ে আগের অবস্থায় ফিরে আসুন।
আরও পড়ুন:
কেন করবেন?
শরীরে গঠন, ভঙ্গি ঠিক করার জন্য এই আসন বেশ কাজের। এ ছাড়া দেহের ভারসাম্য রক্ষা করতেও সাহায্য করে তাড়াসন। বাড়ন্ত বয়সের শিশুরা এই আসন অভ্যাস করলে উচ্চতার উপর বিশেষ প্রভাব পড়ে। এই আসন স্নায়ুর উত্তেজনা প্রশমিত করে এবং মানসিক চাপ লাঘব করতেও সাহায্য করে।
আরও পড়ুন:
সতর্কতা:
যাঁদের রক্তচাপ একেবারে কম, তাঁরা এই আসন করবেন না। ব্যালান্সের অভাব বোধ করলেও তাড়াসন অভ্যাস করা নিষিদ্ধ। এ ছাড়া পায়ের পাতা, কাঁধ, ঘাড় কিংবা অস্থিসন্ধির কোনও সমস্যা থাকলেও এই আসন করা যাবে না।