কী ভাবে করবেন দণ্ডাসন? ছবি: সংগৃহীত।
দেহের ওজন বাড়ছে না কমছে, এ নিয়ে মাথাব্যথার শেষ নেই। কিন্তু ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের আর কোথায় কী কী পরিবর্তন আসছে, তা নিয়ে খুব বেশি মানুষ মাথা ঘামান না। ফিটনেস বিশারদেরা বলছেন, ওজন কমবেশি হলে তার প্রভাব পেশির উপর পড়ে। পেশি এমন শক্ত হয়ে যায় যে, সামান্য হাঁটাচলা করলেও ব্যথা লাগে। ঘুমের মধ্যে পেশিতে টানও ধরে কারও কারও। পেশি নমনীয় এবং মজবুত করতে হলে আলাদা করে শুধু সেটির জন্যই কসরত করা প্রয়োজন। যোগ প্রশিক্ষকেরা বলছেন, নিয়মিত দণ্ডাসন অভ্যাস করলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।
সংস্কৃতে ‘দণ্ড’ কথাটির অর্থ হল লাঠি। অর্থাৎ এই আসন অভ্যাস করার সময়ে দেহের ভঙ্গি এমন হবে, যেন তা দেখতে লাঠির মতো হয়। নিয়ম করে এই আসন অভ্যাস করতে পারলে পা, কোমরের ব্যথাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কী ভাবে করবেন?
· প্রথমে ব্রজাসনের ভঙ্গিতে ম্যাটের উপর বসুন। ওই অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে মাটিতে শুয়ে পড়ুন। গোড়ালি, পায়ের উপরই শুতে হবে। দুই হাত থাকবে দেহের দু’পাশে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন।
· ওই অবস্থান থেকে ধীরে ধীরে আবার ম্যাটের উপর বসুন। এ বার দুই পা সামনের দিকে প্রসারিত করুন। দুই হাতের পাতা রাখতে হবে মাটিতে, নিতম্বের দু’পাশে। কাঁধ, পিঠ, কোমর, মেরুদণ্ড টান টান করে রাখবেন।
· গোড়ালি এবং পায়ের পাতার অবস্থান এমন হবে, যেন দেখতে সমকোণের মতো লাগে। পায়ের আঙুল থাকবে আকাশের দিকে।
· বজ্রাসনে বসা থেকে দুই পা প্রসারিত করা, এই পুরোটা করতে পারলে এক রাউন্ড সম্পূর্ণ হবে। শরীরে তেমন কোনও অসুবিধা না হলে পাঁচ বার পর্যন্ত দণ্ডাসন অভ্যাস করা যেতে পারে।
কেন করবেন?
পা, নিতম্বের পেশি মজবুত রাখার পাশাপাশি হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে এই আসন। হ্যামস্ট্রিং, গোড়ালি, হাঁটুতে টান পড়লেও আরাম লাগে। পায়ের পাতার ব্যথা নিরাময় করে। তলপেটের পেশিও মজবুত হয়। একাগ্রতা বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে এই আসন। পিঠ, কোমরের ব্যথা প্রশমনেও সাহায্য করে দণ্ডাসন।
সতর্কতা:
যাঁদের আগে থেকে হাঁটুতে ব্যথা রয়েছে, তাঁরা এই আসন করবেন না। গোড়ালিতে চোট-আঘাত লেগে থাকলে দণ্ডাসন করা যাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy