স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
২১ শতকে ক্যামেরার পিছনে মেয়েদের অবস্থান নিয়েই বা কেন প্রশ্ন উঠবে? নারী দিবসে এই প্রশ্ন রেখেছিলেন চিত্রনাট্যকার, প্রযোজক সাহানা দত্ত। এই প্রজন্মের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর কথা লুফে নিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। জানালেন, শুধু ক্যামেরার পিছনে কাজ নয়, পানশালায় কোনও মেয়ে এক জন পুরুষকে ড্রিঙ্ক অফার করলে ‘গায়ে পড়া মহিলা’র তকমা সেঁটে যায় তাঁর গায়ে। তখনই উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরেন নিজের কথা। হাসতে হাসতে তাঁর ব্যঙ্গ, ‘‘আমি এতটাই গায়ে পড়া যে শুয়ে শুয়েই সমস্ত কাজ করে যাচ্ছি!’’ স্বস্তিকার কথার ভঙ্গিতে হেসে ফেলেছেন অভিনেত্রী অনন্যা চট্টোপাধ্যায় এবং চিত্রনাট্যকার স্বয়ং। সাহানা সদ্য নিজের প্রযোজনা সংস্থা চালু করেছেন। ২৬ মার্চ হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্মে দর্শকদের উপহার দিচ্ছেন থ্রিলার সিরিজ ‘মোহমায়া’। যার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। সিরিজের প্রচার উপলক্ষে লাইভ হয়েছিলেন ৩ জন। তখনই মুখ খুললেন স্বস্তিকা।
স্বস্তিকার মতো অকপট সাহানাও। স্পষ্ট জানান, দর্শক তাঁকে গ্রহণ করবে না বর্জন করবে, এ সবের তোয়াক্কা না করেই তিনি চিত্রনাট্যকার। দাবি, ছোট পর্দা থেকে ওয়েব প্ল্যাটফর্ম— যখন যেখানে কাজ করেছেন, দেখেছেন সব জায়গায় মেয়েদের এখনও নিজেদের প্রমাণ করতে হয়। তাঁদের বাড়তি পরিশ্রম করতে হয়। কারণ, আশপাশের পুরুষেরা তাঁদের আচরণে, দৃষ্টিতে সারাক্ষণ অবজ্ঞা ছুড়ে দেন মেয়েদের দিকে। যেন নীরবে প্রশ্ন তোলেন, ‘ওঁরা এই কাজের যোগ্য কি?’ প্রযোজক- চিত্রনাট্যকারের কথায়, ‘‘সেই প্রশ্নের জবাব দিতেই চলে মেয়েদের নিরলস পরিশ্রম।’’ তাঁর মতে, পুরুষদের থেকে মেয়েরা কাজের প্রতি অনেক বেশি নিবেদিতপ্রাণ।
সাহানার কথাতেও ছিল স্বস্তিকার সুর। তিনিও সায় দিয়ে বলেন, মন দিয়ে কাজ করার জন্যই মেয়েরা তাড়াতাড়ি কাজ শিখে নেন। উন্নতিও করেন দ্রুত। যার জন্য শুনতেও হয় তাঁদের, শুয়ে-বসে হয়ে যাচ্ছে সব। এটাই নারীজীবনের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি। একই সঙ্গে আগামী প্রজন্মকে সজাগ করে দেন, কাস্টিং ডিরেক্টর হিসেবেও ইদানীং মেয়েদের পাল্লা ভারী। সুতরাং, খোলামেলা ছবি দেখিয়ে জায়গা দখলের পন্থা ভুলতে হবে।
সাহানার কথাতেও ছিল স্বস্তিকার কথার সুর। তিনিও সায় দিয়ে বলেন, মন দিয়ে কাজ করার জন্যই মেয়েরা তাড়াতাড়ি কাজ শিখে নেয়। উন্নতিও করে দ্রুত। যার জন্য শুনতেও হয় তাদের, শুয়েবসে হয়ে যাচ্ছে সব। এটাই নারীজীবনের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি। একই সঙ্গে আগামী প্রজন্মকে সজাগ করে দেন, কাস্টিং ডিরেক্টর হিসেবেও ইদানীং মেয়েদের পাল্লা ভারী। সুতরাং, খোলামেলা ছবি দেখিয়ে জায়গা দখলের পন্থা ভুলতে হবে। মেয়েরা প্রতিভা নিক্তিতে মেপে নেয়।
আলোচনার শুরুটা যদিও ভীষণ মজার ছিল। সাহানা বলেন, তাঁর প্রযোজনা সংস্থার নামের পিছনেও গল্প আছে। কী সেই গল্প? তিনি শুনেছেন, সবাই বলে তাঁর নাকি স্ক্রু নেই! সোজা কথায় তিনি নাকি ‘ছিটিয়াল’। খারাপ লাগার বদলে তিনি খুশি এই তকমায়। তাই তাঁর প্রযোজনা সংস্থার এ রকম নাম। তিনি প্রচণ্ড খুশি, তাঁরই প্রতিচ্ছবি স্বস্তিকা এবং অনন্যার সঙ্গে কাজ করে। যাঁরা সহজ-সরল চরিত্রের বদলে শক্ত চরিত্রে অভিনয় করতেই নাকি বেশি আগ্রহী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy