Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Meena Kumari

Meena Kumari-Nargis: মৃত্যুর জন্য তোমায় অভিনন্দন, মীনা কুমারীকে লিখেছিলেন নার্গিস!

দুই ক্লাসিক নায়িকা শুধু নয়, বাস্তবে তাঁরা একে অপরের প্রিয় বন্ধুও বটে। সেই মীনা কুমারীর মৃত্যুতেই নাকি তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন নার্গিস!

মায়ানগরীর দুই ক্লাসিক নায়িকা শুধু নয়, বাস্তবে তাঁরা একে অপরের প্রিয় বন্ধুও বটে।

মায়ানগরীর দুই ক্লাসিক নায়িকা শুধু নয়, বাস্তবে তাঁরা একে অপরের প্রিয় বন্ধুও বটে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২২ ২০:৩৮
Share: Save:

এক জনকে বলিউড চেনে ‘ট্র্যাজেডি কুইন’ হিসেবে। ৩৩ বছরের কেরিয়ারে তাঁর চোখের জলে ভিজেছে অগণিত দর্শকমন। অন্য জন ছবির দুনিয়ায় বরাবরের ‘মাদার ইন্ডিয়া’। মীনা কুমারী এবং নার্গিস। মায়ানগরীর দুই ক্লাসিক নায়িকা শুধু নয়, বাস্তবে তাঁরা একে অপরের প্রিয় বন্ধুও বটে। সেই মীনা কুমারীর মৃত্যুতেই নাকি তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন নার্গিস!

কান্না ভেজা টকটকে লাল চোখ। কাঁদতে কাঁদতে ফুলে গিয়েছে চোখের কোল। তাঁর দুঃখে কেঁদে আকুল দর্শকও। তাঁর সংলাপের বিষণ্ণতা ছুঁয়ে গিয়েছে মন। পর্দায় মীনা কুমারীকে এ ভাবেই দেখতে অভ্যস্ত বলিউড। কিন্তু সেই সঙ্গেই বাস্তবে তাঁর অসুখী দাম্পত্য, স্বামী কমল অমরোহীর সঙ্গে নিত্য অশান্তি এবং নায়িকার একাকীত্বে ঘেরা জীবন বরাবরই ছিল চর্চায়। মীনা কুমারীর জীবনে এমন অসম্পূর্ণতা, তাঁর বিপর্যস্ত মানসিক পরিস্থিতি দুশ্চিন্তায় রাখত বন্ধু নার্গিসকেও।

এক উর্দু পত্রিকায় মীনা কুমারীর দুর্দশার স্মৃতিচারণ করেছিলেন নার্গিস। সেখানেই এক ভয়ানক অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছিলেন তিনি। লিখেছিলেন, ‘এক রাতে মীনাদের ঘর থেকে সাঙ্ঘাতিক ঝামেলা-মারধরের শব্দ। তার পরেই বাগানে দেখা হল মীনার সঙ্গে। চোখমুখ ফোলা। হাঁপাচ্ছে ভীষণ। জিজ্ঞেস করেছিলাম, বিশ্রাম নিচ্ছো না কেন? ও বলেছিল, বিশ্রাম আমার ভাগ্যে নেই বা-জি (দিদি)। একেবারেই ঘুমোব। সে দিনই সোজা গিয়ে পাকড়াও করেছিলাম কমল অমরোহীর সেক্রেটারি বকরকে। প্রশ্ন করেছিলাম, তোমরা কি মীনাকে মেরে ফেলতে চাও? ও তো তোমাদের জন্য যথেষ্ট কাজ করেছে, আর কত দিন খাওয়াবে তোমাদের? সে বলেছিল, ঠিক সময়ে ওকে বিশ্রাম দেব।’

চোখের সামনে বন্ধুকে এ ভাবে তিলে তিলে মরতে দেখা সহজ ছিল না। মীনার দুঃখ সইতে পারতেন না নার্গিসও। আর তাই ১৯৭২ সালের ৩১ মার্চ লিভার সিরোসিসে মীনা কুমারীর মৃত্যু বরং স্বস্তি দিয়েছিল তাঁকে। প্রিয় বান্ধবীর মৃত্যুর পর কলম ধরে তাই নিজের মনের কথা উজাড় করে দিয়েছিলেন সুনীল দত্তের ঘরনি। লিখেছিলেন, ‘মৃত্যুর জন্য তোমায় অভিনন্দন। আগে কখনও তোমায় এ কথা বলা হয়নি। মৃত্যুর জন্য তোমার বা-জির অভিনন্দন রইল। আর কখনও এই পৃথিবীতে এসো না। এই দুনিয়া তোমার মতো মানুষের জন্য নয়।’

ওই লেখাতেই নার্গিস জানিয়েছেন মীনার পরিণতির কথাও। তুমুল অশান্তির দাম্পত্য জীবন পেরিয়ে কমলের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটেছিল ‘পাকিজা’র নায়িকার। দুঃখ ভুলতে সে সময়ে আঁকড়ে ধরেন মদ্যপানকে। বিপর্যস্ততার সঙ্গে টানা লড়াইয়ে সাময়িক স্বস্তি দিয়েছিল ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে কিছু দিনের প্রেম। কিন্তু একাধিক ভুল বোঝাবুঝির জেরে ধর্মেন্দ্রও তাঁকে ছেড়ে যাওয়ায় ফের একাকীত্বে ডুবে যান বলিউডের ‘ট্র্যাজেডি কুইন’।

অন্য বিষয়গুলি:

Meena Kumari Nargis Bollywood
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy