কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়
রোজ সকাল এগারোটায় টিভির সামনে বসছেন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়,কুড়ি বছর পেরিয়ে যাওয়া নিজেকে টেলিভিশনের পর্দায় দেখতে। “নিজেকে দেখে খুব অবাক হচ্ছি। কী মিষ্টি আর ইনোসেন্ট ছিলাম আমি! আমার আর হাসির আন্টির দৃশ্য দেখে কেঁদে ফেলেছিলাম। মানুষটা আজ নেই। পাখি-ঠাম্মার এই সম্পর্ক এই ঘরবন্দির সময় দর্শকদের আরও প্রিয় হয়ে উঠছে” বললেন ‘এক আকাশের নীচে’ ধারাবাহিকের ‘পাখি’ ওরফে কনীনিকা। সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিনেই এই ধারাবাহিক পুনরায় আরম্ভ করা হয়েছে।
ইনবক্স থেকে মেসেঞ্জারে অজস্র মেসেজ পাচ্ছেন এই ধারবাহিকের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ কনীনিকা। তিনি জানালেন, গতকাল ওই ধারাবাহিকের অভিনেত্রী চৈতি ঘোষালের সঙ্গে কথা হয় তাঁর।সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়কে ঠাম্মার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখে চৈতি ঘোষালও নস্টালজিক হয়ে পড়েছিলেন।
আনন্দবাজার ডিজিটালকে কনীনিকা বলেন, “ আমার সবচেয়ে বেশি মনে পড়ছে রবি ওঝার কথা। ওই সময়ে আমি একদম নতুন, ফ্লোর শেয়ার করছি রনিদা, অপুদার সঙ্গে। উনি খুব সাহায্য করেছিলেন আমায়। ”
ধারাবাহিকের সেটের এক পুরনো ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ধারবাহিকের সহকারী পরিচালক সুমন দাস। পোস্টে প্রচুর কমেন্ট আসে, যা থেকে বোঝা যায় দর্শকরা আবার জি বাংলায় ‘এক আকাশের নীচে’ দেখতে পেয়ে খুব খুশি। কনীনিকা বলেন, “পাখিকে দেখে আমার মনে হচ্ছে ও চড়ুইপাখি আর আজকের কনীনিকা বাজপাখি। সেই ইনোসেন্স আর এখন নেই।আমার বরও তাই বলেছে। তবে আমি, অপুদা, রনিদা সবাই চেহারায় কত বদলে গেছি। চৈতিদি কেবল একরকম আছে”।
আরও পড়ুন: তৈরি হচ্ছে লকডাউনের গান, একসঙ্গে এই প্রথম অনুপম, শ্রীজাত, অনিন্দ্য, চন্দ্রিল
আরও পড়ুন: লকডাউন না থাকলে আজই রতন কাহারের বাড়ি যেতাম: বাদশা
‘পাখি’-র চরিত্রে কনীনিকা
স্পটবয় থেকে প্রডাকশন ম্যানেজার সকলেই ধারাবাহিক দেখার পর একে অপরের সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন, পুরনো স্মৃতি শেয়ার করছেন তারা একে অপরের সঙ্গে। মনে হচ্ছে যেন করোনার মাটিতে এক আকাশের নীচে মুক্তির স্বাদ এনে দিচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy