কোনও অভিমান থেকে কি ছোট পর্দা থেকে দূরত্ব, কী বললেন অভিনেতা? — ফাইল চিত্র।
এক সময় ছোট পর্দা তাঁকে রাতারাতি প্রচারের আলোয় দাঁড় করিয়েছিল। ‘ইচ্ছেনদী’ কিংবা ‘ফাগুন বউ’ সিরিয়ালে তাঁর অভিনীত চরিত্র এখনও দর্শকের মুখে মুখে ফেরে। কিন্তু সেই বিক্রম চট্টোপাধ্যায় ছোট পর্দা থেকে প্রায় ৪ বছর দূরে রয়েছেন। পরিবর্তে তাঁকে বাংলা ছবিতে বেশি দেখা যাচ্ছে। কোনও অভিমান থেকে কি এই দূরত্ব? বিক্রম বললেন, ‘‘টেলিভিশন আমাকে অকল্পনীয় ভালবাসা দিয়েছে। পারিশ্রমিকও যথেষ্ট ভাল। তুলনায় বছরে তিনটে বাংলা সিনেমা করলেও জীবনযাপনের খরচ বহন করা একটু কঠিন। কিন্তু জানি প্যাশন থেকে কোনও কাজ করতে হলে নিজের ২০০ শতাংশ নিংড়ে দিতে হবে।’’
তবে ছোট পর্দায় না দেখা গেলেও অনুরাগীদের অনুরোধ কিন্তু বিক্রমের কাছে আসতেই থাকে। তাঁকে আরও এক বার সিরিয়ালে দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন তাঁরা। বিক্রমের কথায়, ‘‘দশ বছর ছোট পর্দায় কাজ করেছি বলেই হয়তো এই ভালবাসা। আশা করব, আগামী দশ বছর সিনেমায় অভিনয় করার পর যদি রেস্তরাঁর ব্যবসা করি, তখনও অনুরাগীদের মেসেজ আসবে। দর্শকের কাছে আমি অশেষ কৃতজ্ঞ।’’
সম্প্রতি ‘কুলের আচার’ এবং ‘শেষ পাতা’ ছবিতে দর্শক বিক্রমকে দেখেছেন। যে কোনও ছবির প্রস্তাবেই যে অভিনেতা রাজি হচ্ছেন, তা কিন্তু নয়। বললেন, ‘‘অভিনেতা হিসেবে আমি আমার পরিধিটা জানি। তাই সব কাজে রাজি না হওয়ার জন্যও আমার একটা দুর্নাম আছে বলেও শুনতে পাই।’’ এই আত্মবিশ্বাস অভিনেতা ছোট পর্দায় অভিনয়ের দৌলতেই পেয়েছেন বলে জানালেন। তাঁর কথায়, ‘‘যত ক্ষণ না বুঝি যে চরিত্রটা আমার কেরিয়ারে কোনও সাহায্য করবে, তত ক্ষণ আমি রাজি হই না।’’
কিন্তু সিরিয়ালের প্রস্তাব নিশ্চয়ই আসতেই থাকে? বিক্রম বললেন, ‘‘তিনটে সিরিয়ালে অভিনয় করেছি, তিনটেই হিট। তার জন্য আমি প্রযোজক এবং নির্মাতাদের কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু তার মানে এই নয় যে প্রতিদিনই প্রস্তাব আসছে!’’ সিরিয়ালে প্রত্যাবর্তন নিয়ে তাঁর ভাবনা কী রকম? বিক্রম হেসে বললেন, ‘‘সিরিয়াল মানে এখন কমপক্ষে এক বছরের জন্য ডেট দিতে হয়। এই মুহূর্তে একগুচ্ছ ছবির কাজে আমি ব্যস্ত। সেগুলো শেষ না করে তো সিরিয়ালে রাজি হতে পারব না। আজ কী হচ্ছে, আমি সেটায় মন দিতে চাই। কাল কী হবে দেখা যাক।’’
এই মুহূর্তে তথাগত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি ‘পারিয়া’র শুটিং করছেন বিক্রম। মুক্তির অপেক্ষায় অরিত্র সেন পরিচালিত ‘শহরের উষ্ণতম দিনে’। আদিত্য সেনগুপ্ত পরিচালিত ছবিতে দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে দেখা যাবে বিক্রমকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy