‘ডাকঘর’ ওয়েব সিরিজ়ের কলাকুশলীদের একাংশ বকেয়া পারিশ্রমিক পাননি বলে অভিযোগ। ছবি: সংগৃহীত।
বিগত কয়েকদিন ধরেই ‘ডাকঘর’ ওয়েব সিরিজ়টি ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। দিতিপ্রিয়া রায় এবং সুহোত্র মুখোপাধ্যায় অভিনীত এই সিরিজ় দর্শকের পছন্দ হলেও কানে আসছে একাধিক অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, দুটি টিম এই সিরিজ়ের শুটিং করে। প্রথমে সিরিজ়ের শুটিং শুরু করেন পরিচালক অভিষেক সাহা। তার পর তিনি সরে দাঁড়ালে পরিচালক অভ্রজিৎ সেনকে আনা হয়। অভিষেকের ইউনিটে ক্যামেরার দায়িত্বে ছিলেন মৃন্ময় নন্দী। সমাজমাধ্যমে মৃন্ময়ের অভিযোগ, তিনি প্রযোজনা সংস্থার তরফে এখনও তাঁর বকেয়া পারিশ্রমিক পাননি।
ঠিক কী ঘটেছে, জানতে মৃন্ময়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। মৃন্ময় জানিয়েছেন যে, তিনি বাধ্য হয়েই বিষয়টি সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন। কারণ শুটিংয়ের আগে তাঁকে শুধু অগ্রিম টাকা দেওয়া হয়েছিল। সিরিজ় মুক্তি পাওয়ার পরেও এখনও তিনি বকেয়া পারিশ্রমিক পাননি। মৃন্ময়ের কথায়, ‘‘বার বার যোগাযোগ করেছি। কোনও লাভ হয়নি। শেষে ফোন ধরা বন্ধ করে দিয়েছে।’’ মৃন্ময়ের মতে, কোনও চুক্তি ছাড়াই এই সিরিজ়ের শুটিং শুরু করেছিলেন তিনি। অনুরোধ করার পর অগ্রিম পারিশ্রমিক এবং প্রাপ্য পারিশ্রমিকের অঙ্ক উল্লেখ করে একটি ই-মেল পেয়েছিলেন। ‘‘কত টাকা পেয়েছি আর কত পাওনা রয়েছে, আমার কাছে এখন ওই ই-মেলটাই একমাত্র প্রমাণ।’’
কিন্তু একই সিরিজ়ে দু’বার শুটিং করা হল কেন? মৃন্ময়ের দাবি, তাঁরা পুরো সিরিজ়ের শুটিং সেরেছিলেন। প্রি প্রোডাকশনের সময় তাঁরা প্রযোজককে জানিয়েওছিলেন যে, ১৮-১৯ দিনের কমে শুটিং শেষ করা যাবে না। মৃন্ময় বললেন, ‘‘কিন্তু আমাদের ১৩ দিনে শুটিং শেষ করতে বাধ্য করা হয়। ফলে অভিষেকও মনের মতো বহু শট নিতে পারেনি। আমার ধারণা, তার পর সম্পাদনায় সমস্যা হওয়ায় নতুন করে কিছু দৃশ্যের শুটিং করতে দ্বিতীয় টিমের ডাক পড়ে।’’
এরই পাশাপাশি নির্মাতাদের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ এনেছেন মৃন্ময়। সিরিজ়ের ক্রেডিট লিস্টে দু’জন ডিওপির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথম জন শান এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মৃন্ময়ের নাম। মৃন্ময় বললেন, ‘‘ওরা আমার নাম ব্যবহারের জন্য অনুমতি নিয়েছিল। সিরিজ়ের সিংহভাগ আমি শুট করেছি। কিন্তু দেখলাম আমার নামটাই দ্বিতীয় স্থানে রাখা হয়েছে!’’ সেই সঙ্গে মৃন্ময় জানালেন সিরিজ়ের প্রচারপর্বেও তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়নি। তা হলে এখন কী করবেন মৃন্ময়? বললেন, ‘‘বিষয়টা আমি টলিপাড়ার সিনেমাটোগ্রাফার গিল্ডের নজরে এনেছি। দেখা যাক কী হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy