সম্পূর্ণা ফিরেছেন ধারাবাহিকে। ছবি সৌজন্যে অভিনেত্রী।
‘নজর’ ধারাবাহিকের মুখ্য অভিনেতা সম্পূর্ণা লাহিড়ি। তিনি পাওয়ারফুল বড় ডাইনি মায়া। নিজের লম্বা বেণী দুলিয়ে হাসতে হাসতে যে কোনও অসাধ্য কাজ করে দিতে পারেন। মুহূর্তে ব্ল্যাক ম্যাজিক করে যে কোনও বিষয় নিয়ে আসতে পারেন নিজের আয়ত্তের মধ্যে। ধারাবাহিকটি আপাতত পরিচালনা করছেন ফিল্ম পরিচালক রাজীব কুমার বিশ্বাস।
শোনা যাচ্ছে তিনি নাকি রোজ রান্না করে খাওয়াচ্ছেন নায়িকাকে। ব্যাপারটা কী? মায়া কি তাঁর কালো জাদু প্রয়োগ করলেন পরিচালকের ওপর?
সম্পূর্ণা ওরফে মায়া তো পরিচালকের রান্না খেয়ে কুপোকাত। বললেন, “অসাধারণ রান্না করে রাজীবদা... মাটনটা জাস্ট ভাবা যাচ্ছে না, মুখে লেগে আছে... রাজীবদা ছোট মাছ খেতে খুব ভালোবাসে... বিভিন্নরকম ছোট মাছ রান্না করে... আমি যা যা খেয়েছি, শোল মাছ... ছোট মাছগুলোর নাম জিজ্ঞেস করলে বলতে পারবো না... মাটন বেশ কয়েকবার খেয়েছি... মাঝে মাঝে ভাল্লাগছে না, তো মাটন রান্না করে... হা হা হা...” হাসি থামতেই চায় না নায়িকার।
আরও পড়ুন: এনসিসি ক্যাডেট, মার্শাল আর্টে দক্ষ, মিস সুপারইন্টারন্যাশনাল এই নায়িকার ডেবিউ হল বলিউডে
প্যাকআপের পরেও নাকি নায়িকা বাড়ি যেতে চান না। পরিচালক রাজীব কুমার মজা করে বললেন, “ধরা যাক একঘন্টা আগে প্যাক আপ হয়ে গেছে, যদি শোনে যে আমি রান্না করছি এদিক সেদিক ঘুরে, আড্ডা দিয়ে দেরি করতে করতে ঠিক খাওয়ার সময় চলে আসে।”
তা কী রান্না করেন পরিচালক? রান্নার বিষয়ে তিনি বেশ সিরিয়াস। রান্নার খুঁটিনাটি শেয়ার করলেন, “সজনে ডাঁটা করি, মাছ করি, মাংস করি... সব রান্না করি... যে সব রান্না কম সময়ে করা যায় আরকি... যা রান্না করব আগে থেকে রেডি থাকে, ব্রেক দিয়েই রান্না শুরু করি। রান্না শেষ হলেই খাবারটা খাই। তখনই হিরোইন ঠিক গন্ধ পেয়ে চলে আসে (হাসি)।”
রোজ রোজ তিনি কি হিরোইনের জন্যই রান্না করেন? পরিচালক ব্যাখ্যা করলেন, “আমি বাইরের কিছু খাই না... বরাবর... ফুচকা টুচকা খাই না... শুটিংয়ের খাবার, রেস্তরাঁর খাবার কিচ্ছু খাই না। যদি কেউ বাড়ি থেকে রান্না করে এনে খেতে বলে সেটা অন্য প্রশ্ন। তো শুটিংয়ের ফাঁকে রান্না করা আমার কাছে একেবারেই নতুন কিছু নয়। তবে এই প্রথম সম্পূর্ণার সঙ্গে কাজ করছি। আমার রান্না করার বিষয়টা তাই ওর কাছে নতুন।”
আরও পড়ুন: ‘দাবাং থ্রি’র শুটিং থেকে ভিডিয়ো শেয়ার করলেন সলমন
তা হলে কি পরিচালকের রান্না খেয়ে নায়িকার ডায়েটের বারোটা বেজে গেল? সম্পূর্ণা হাসতে হাসতে জানালেন, “না না, খুব অল্প অল্প খাই...এত ভাল ভাল খাবার... ছাড়া যাবে না। আমি দু জায়গাতেই আছি... আর্টিস্টদের সঙ্গেও খাই আবার রাজীবদা এবং ডিরেক্টরিয়াল টিমের সঙ্গেও খাই...সবাই বাড়ি থেকে কিছু না কিছু দারুণ পদ আনে... হা হা হা... সহঅভিনেতারা আমার জন্য সুন্দর করে খাবার রেখে দেন। নিজের বাড়ির খাবার নিয়ে যাই আর বাড়ি ফেরত আনি... আমার তো সব ডায়েট ফুড, কেউ খায় না... হো হো হো... একটা সুবিধা যে আমি মায়ের সঙ্গে থাকি না, তাই বকা খেতে হয় না।”
সম্পূর্ণা যোগ করলেন, “রাজীবদা খুব মজার মানুষ’’
পরিচালক ও নায়িকা পরস্পরের বিষয়ে কী বলছেন? পরিচালক বললেন, “সম্পূর্ণা বেশ মিশুকে... কথা বলতে, আড্ডা মারতে ভালোবাসে। কাজটাও মন দিয়ে করছে।”
সম্পূর্ণা যোগ করলেন, “রাজীবদা খুব মজার মানুষ... অ্যাকচুয়ালি হি ইজ ভেরি এন্টারটেনিং... মানে রাজীবদার কথা বলা, সিন বোঝানো... আমি বলব এক্সট্রিমলি হেল্পফুল... যে কেউ রাজীবদার কাছে হেল্প চাইলে যে ভাবেই হোক ম্যানেজ করবেই... এতবড় একটা শুটিং চলছে খুব ঠাণ্ডা মাথায় রাজীবদা হ্যাণ্ডেল করে এবং বুদ্ধি করে হ্যাণ্ডেল করে... সেটা খুব ইম্পরট্যান্ট... একদম হাইপার নয়... শুটিংয়ের ফাঁকে নানারকম মজা চলতেই থাকে... ওগুলো মানে...বলাও যাবে না ঠিক... (মৃদু হাসছেন)।”
শুটিং-অবসরের রান্না আর ‘বলা যাবে না’ মজাগুলো নিয়ে পরিচালক-নায়িকা জুটি এগিয়ে চলেছেন। দর্শককুলের ‘নজর’ আছে মায়া ডাইনির কালো জাদুর দিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy