রবীন্দ্রনাথের গান কেন্দ্র করে অভিনব উদ্যোগ ‘গানের সুরে আমার মুক্তি’। আগামী ৬ আগস্ট সকাল ৯ টা ও ৭ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতা হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্দুমতী প্রেক্ষাগৃহে। বেছে নেওয়া হবে সফল তিন প্রতিযোগীকে। পুরস্কার হিসাবে তাঁরা পাবেন যথাক্রমে ১০,০০০, ৫০০০ ও ৩০০০ টাকা। এ ছাড়াও থাকবে রবীন্দ্রনাথের গান রেকর্ডিংয়ের সুযোগ। খ্যাতনামী চার জন বিচারকের মনোজ্ঞ রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশনও রয়েছে ওই দিনের অনুষ্ঠানসূচিতে। ‘গানের সুরে আমার মুক্তি’র চূড়ান্ত পর্বে বিচারকের আসনে অভিজিৎ গুহ ও দেবমাল্য চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকবেন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী শ্রী অলক রায়চৌধুরী ও শ্রী সুব্রত সেনগুপ্ত।
সঙ্গীত অ্যাকাডেমির প্রধান, রবীন্দ্রগানের জনপ্রিয় শিল্পী শ্রাবণী সেনের মতে, ‘‘অতিমারির জন্য ঘরের দমবন্ধ পরিবেশে অনেক দিন কেটেছে, আতঙ্ক এতটাই গ্রাস করেছিল, গান চর্চার পরিবেশ প্রায় ছিল না বললেই হয়। সারা বাংলা থেকে বরীন্দ্রগানের অনুরাগীদের নিয়ে একটা প্রতিযোগিতা করার কথা মাথায় আসে। স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছি এই উদ্যোগে। প্রথম প্রতিযোগিতা হয় অনলাইনে। ফাইনাল হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্দুমতী সভাগৃহে।’’
নিজের সংস্থার উদ্যোগ, তাই বিচারকের আসনে ছিলেন না শ্রাবণী। রবীন্দ্রনাথের গানের অনলাইন প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন, রবীন্দ্রসঙ্গীত বিশেষজ্ঞ শ্রী অভিজিৎ গুহ ও রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী শ্রী দেবমাল্য চট্টোপাধ্যায়। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছিলেন এই প্রতিযোগিতায়। প্রথম পর্যায়ের প্রতিযোগিতা থেকে বেছে নেওয়া হয় কুড়ি জন প্রতিযোগীকে। কেমন ছিল অনলাইনের বিচার পর্ব? দেবমাল্য বললেন, ‘‘কুড়ি জন প্রতিযোগীকে আমাদের বেছে নিতে হয়েছে। সুর, তালকেই প্রাধান্য দিয়েছি আমরা। সেই সঙ্গে গানের ভাবনার প্রকাশ ও বিচার্য ছিল। চূড়ান্ত পর্বে প্রাধান্য পাবে গানের নির্বাচনও।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy