ধারাবাহিকের সেট থেকে: সুশান্ত এবং অঙ্কিতা। ফাইল চিত্র।
কেটেছিল বিচ্ছেদের চার-চারটে বছর। তবু বাঁধন থেকে আলগা হতে পারেননি অঙ্কিতা-সুশান্ত। অঙ্কিতা লোখন্ডের ফ্ল্যাটের নেমপ্লেটে আজও জ্বলজ্বল করছে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের নাম...স্মৃতিচারণায় সুশান্ত-অঙ্কিতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সন্দীপ সিংহ। ইনস্টাগ্রামের এক পোস্টে কাঁদছেন সন্দীপ। পাতা উল্টে দেখছেন পুরনো দিন।
মুম্বইয়ের লোখন্ডওয়ালায় একসঙ্গে থাকতেন সন্দীপ, সুশান্ত-অঙ্কিতা। একসঙ্গে রান্না করা, স্পেশাল ‘মাটন ভাত’, লোনাভেলায় লং ড্রাইভ, হোলিতে পাগলামো...আজ সবই স্মৃতি। অঙ্কিতা যেন আগলে রেখেছিলেন সুশান্তকে, সন্দীপের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বারে বারেই উঠে এসেছে সেই কথা। তাঁর প্রতিটি শব্দ ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে চার-পাঁচ বছর আগের কোনও এক দিনে।
সন্দীপ ওই পোস্টে লিখছেন, “যখন তোমরা আলাদা হলে, অঙ্কিতা, তখনও তুমি শুধু ওর ভালই চেয়েছো। সুশান্তের খুশি, সাফল্যতেই খুশি ছিলে তুমি। সেই যে আমার মায়ের হাতের মাটন কারি, সুশান্ত খেতে কী ভালবাসত। না পেলে বাচ্চাদের মতো করত। মালপোয়া? মনে আছে তোমার। আমি পারছি না অঙ্কিতা। আমি আমাদের তিনজনকে ফিরে পেতে চাই। আমি ওই সব দিনে আবার ফিরে যেতে চাই। ”
সন্দীপের সেই পোস্ট
‘পবিত্র রিশতা’ ধারাবাহিকের সেটে আলাপ সুশান্ত-অঙ্কিতার। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। ছয় বছরের সম্পর্ক ছিল তাঁদের। ছোটবেলায় মা’কে হারানো সুশান্ত আঁকড়ে ধরেছিলেন অঙ্কিতাকে। অঙ্কিতাও জাপটে ছিলেন তাঁকে। সুশান্তকে বেশি করে পাবেন বলেই কাজ ছেড়েছিলেন, ঘর আঁকড়ে ধরেছিলেন অঙ্কিতা। সুশান্তের চোখে তখন সাফল্যের হাতছানি। কেন তাঁদের সম্পর্ক ভেঙেছিল, তা স্পষ্ট করেননি কেউ-ই। অনেকেই বলেন, আরব সাগরের ঢেউয়ের মতো সে সময় সুশান্তের জীবনে এসেছিলেন কৃতি শ্যানন। অঙ্কিতার শান্ত ভালবাসা সেই ঢেউয়ে নোঙর ফেলতে পারেনি। কিন্তু সেই ঢেউও তো সুশান্তের মনকে উথাল-পাথাল করে কোথায় মিলিয়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন- ‘প্রথম হিরোর সঙ্গে ডেট করো না’, করিনার মন্তব্য ফের উসকে দিল স্বজনপোষণ বিদ্বেষ
মুম্বই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে সুশান্ত নাকি মনোবিদের কাছেও স্বীকার করেছিলেন অঙ্কিতাকে ছেড়ে দিয়ে মস্ত ভুল করেছিলেন। অনুশোচনায় গুমরে মরতেন তিনি।
সন্দীপেরও মনে হত, সুশান্তকে অবসাদ-হতাশা থেকে এক মাত্র বের করে নিয়ে আসতে পারতেন অঙ্কিতাই। তাঁর কথায়, “ আমি জানি, ও যদি তোমাকে কাছে রাখত তবে এক মাত্র তুমি ওকে বাঁচাতে পারতে। আই উইশ, তোমরা বিয়ে করতে, তোমাদের সংসার হত। মনে আছে আমরা কত স্বপ্ন দেখতাম তোমাদের বিয়ে নিয়ে? অঙ্কিতা তুমি তো শুধু ওঁর গার্লফ্রেন্ড ছিলে না। তুমি ছিলে ওর মা, ওর স্ত্রী, ওর সবচেয়ে ভাল বন্ধু। আই লাভ ইউ অঙ্কিতা। তোমাকে অন্তত আমি হারাতে চাইনা। বিশ্বাস কর, আমি আর নিতে পারব না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy