Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
sonali phogat

সোনালিকে বেহুঁশ করা হয়েছিল যেখানে, গোয়ার সেই রেস্তরাঁ ভাঙায় সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ

শুক্রবার সাতসকালেই ওই রেস্তরাঁ ভাঙার কাজ শুরু করে দিয়েছিল গোয়া প্রশাসন। তবে সেই সময়েই রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের কাছে ত্রাতা হয়ে দাঁড়ায় শীর্ষ আদালতের নির্দেশ।

বিজেপি নেত্রী তথা অভিনেত্রী সোনালি ফোগতের খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি শিরোনামে উঠে এসেছে গোয়ার এই রেস্তরাঁ।

বিজেপি নেত্রী তথা অভিনেত্রী সোনালি ফোগতের খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি শিরোনামে উঠে এসেছে গোয়ার এই রেস্তরাঁ। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
গোয়া শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:০৩
Share: Save:

জরুরি ভিত্তিতে শুনানির পর গোয়ার আঞ্জুনা সমুদ্রতটে কার্লি’জ রেস্তরাঁ ভাঙার কাজে শর্তসাপেক্ষে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার সাতসকালেই ওই রেস্তরাঁ ভাঙার কাজ শুরু করে দিয়েছিল গোয়া প্রশাসন। তবে সে সময়ই রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের কাছে ত্রাতা হয়ে দাঁড়ায় শীর্ষ আদালতের নির্দেশ। আপাতত ওই রেস্তরাঁয় যাবতীয় বাণিজ্যিক কাজকর্ম বন্ধ রাখতে হবে— এই শর্তেই রেস্তরাঁ ভাঙা পড়বে না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

বিজেপি নেত্রী তথা অভিনেত্রী সোনালি ফোগতের খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি শিরোনামে উঠে এসেছে গোয়ার এই রেস্তরাঁ। অভিযোগ, সোনালিকে খুনের আগে এই রেস্তরাঁয় রাসায়নিক মাদক মেশানো পানীয় খাওয়ানো হয়েছিল। পুলিশের দাবি, জেরায় সে কথা স্বীকার করেছেন সোনালি-খুনে মূল অভিযুক্ত তথা তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী সুধীর সাঙ্গওয়ান। ২৩ অগস্ট সোনালিকে খুনের পর থেকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন সুধীর, গোয়ার এই রেস্তরাঁর মালিক এডউইন নুনেজ-সহ সোনালির আরও এক সহকারী সুখবিন্দর সিংহ। এ ছাড়া, দত্তপ্রসাদ গাঁওকর এবং রামদাস মান্দ্রেকর নামে দু’জন মাদক ব্যবসায়ীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও পরে ধৃতদের প্রত্যেককে ৩০,০০০ টাকা ব্যক্তিগত বন্ড এবং ১৫,০০০ টাকা সিকিউরিটি বন্ডের মাধ্যমে জামিন দেওয়া হয়।

৮ অগস্ট, বৃহস্পতিবার জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনালের সবুজ সঙ্কেত পাওয়া মাত্রই আঞ্জুনা সমুদ্রতটে কার্লি'জ রেস্তরাঁ ভাঙার কাজ শুরু করেছিল গোয়া প্রশাসন। জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনালের মতে, উপকূলীয় নিয়ন্ত্রণ অঞ্চল (সিআরজেড) আইন ভেঙে রেস্তরাঁ গড়েছেন নুনেজ। তবে সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে তাঁর আইনজীবীর দাবি, আঞ্জুনা তটে যে সম্পত্তি ঘিরে বিতর্ক, ১৯৯১ সাল থেকেই তা এখানে রয়েছে। এবং সে সময় থেকে এতে কোনও রকমের বদল আনা হয়নি। অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল এটি ভাঙার নির্দেশ দেওয়া মাত্রই শুক্রবার থেকে সে কাজ শুরু করে দিয়েছে গোয়া প্রশাসন। এই বক্তব্য শোনার পর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ রায় দেয়, যে পুরনো কুটিরে এই রেস্তরাঁটি রয়েছে, তা ভাঙায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হল। তবে আঞ্জুনা তটে অন্য কোনও বেআইনি নির্মাণ ভাঙা যাবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy