এত বছরের অভ্যাস এক নিমেষে বদলে ফেলতে নিশ্চয়ই কষ্ট হচ্ছে সুদীপার? ছবি: সংগৃহীত।
১৭ বছরের যাত্রার ইতি। এক যুগেরও বেশি সময় পার। প্রতি দিন বিকেলবেলা তাঁকে দেখতে অভ্যস্ত দর্শক। নতুন বছর থেকে সেই অভ্যাসের বদল হতে চলেছে। ঘড়ির কাঁটায় ৫টা বাজলেই নিত্যনতুন খাবারের রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে যেতেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। আর দেখা যাবে না সুদীপাকে। শেষ হয়ে গেল শেষ পর্বের শুটিং। ৩১ ডিসেম্বর শেষ বারের মতো সম্প্রচারিত হবে ‘রান্নাঘর’।
এত বছরের অভ্যাস এক নিমেষে বদলে ফেলতে নিশ্চয়ই কষ্ট হচ্ছে সুদীপার? আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয় সঞ্চালকের সঙ্গে। সুদীপার কথায়, “বিশ্বাস করুন, শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে কোনও অভিযোগ নেই। হ্যাঁ কষ্ট তো হচ্ছেই। সেই ছোট্ট ঘর থেকে শুটিং শুরু করা। তার পর এই সাফল্য শেষ হয়ে যাচ্ছে, মনখারাপ হবে না? কিন্তু শেষ দিনের শুটিংয়ে যাতে হাসিমুখে বিদায় জানাই, তার জন্য যা যা করা হয়েছে, আমার জন্য যা করা হয়েছে, আমি কখনও ভুলতে পারব না।”
কী কী হয়েছে? শেষ পর্বের শুটিংয়ের গল্প বলতে গিয়ে একটু গলাটা ধরে এল সুদীপার। তিনি বলেন, “আমি যাতে বেশি না কাঁদি, তার জন্য কাঞ্চনদাকে অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যাতে হাসি-মজায় কাটে শেষ দিনটা। আমার ডাকনাম পিঙ্কি। তাই গোলাপি রঙের গোলাপের একটি সুন্দর ফুলের তোড়া উপহার দিয়েছে সবাই। শুধু কি তাই? শুটিংয়ে ঢুকে আমি তো অবাক। মনে হচ্ছে যেন বিয়েবাড়ি। এক ট্রে মিষ্টি, নোনতা খাবার। ফ্লোরের বাইরে বাঁধা হয়েছিল প্যান্ডেল। সেখানে খাবারের সারি। সবগুলো খাবারই আমার প্রিয়। পোলাও, মাটন, চিংড়ির মালাইকারি, চাটনি, পাপড়। পাত পে়ড়ে প্রায় ১৮০ জনকে খাইয়েছে চ্যানেল। বিদায়বেলায় এত কিছু হলে কি আর মনখারাপ হয়! তবুও শুটিং মিস করব, কিন্তু আমার কোনও অভিযোগ নেই।”
১৭ বছর ধরে চলা ‘রান্নাঘর’-এর পরিবর্তে আসতে চলেছে অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদারের নতুন রিয়্যালিটি শো। সুদীপার সঙ্গে ইন্দ্রাণীর কি এই বিষয়ে কোনও কথা হয়েছে? সুদীপা জানালেন, তাঁর মা অসুস্থ। তাই এত ছোটাছুটিতে ফোন করে ওঠা হয়নি। তিনি বলেন, “শুনলাম মামণিদির কোমরে লেগেছে। এক বার খোঁজ নেওয়া উচিত ছিল, কিন্তু মায়ের জন্য পেরে উঠিনি। তবে আমার তরফ থেকে অনেকে শুভেচ্ছা ইন্দ্রাণীদিকে। নিশ্চয়ই এই সিদ্ধান্ত চ্যানেল নিয়েছে আগামীর ভাল ভেবেই।”
আপাতত বাড়িতে ছেলে আদিদেব এবং চিত্রনাট্যের কাজ নিয়েই ব্যস্ততা চলবে। মাঝে বাইরে ঘুরতে যাওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে সুদীপার। সঙ্গে রয়েছে শাড়ির ব্যবসা। তাই কিছু দিন ছোট পর্দা থেকে দূরেই থাকতে চান তিনি। পরে ভাল কিছু সুযোগ পেলে নিশ্চয়ই ভেবে দেখবেন, এমনটাই জানালেন সুদীপা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy