এই নববর্ষ আদতেই নতুন রূপসা চট্টোপাধ্যায় ও অনিন্দিতা রায়চৌধুরীর জন্য। মা হওয়ার পরে প্রথম নববর্ষ পালন করছেন দুই অভিনেত্রী। তাই অন্য বছরের তুলনায় এ বারের নববর্ষের যেন আরও বিশেষত্ব রয়েছে। তবে নতুন মা হওয়ার পর দায়িত্বও বেড়েছে মুহূর্তে। খাওয়াদাওয়াতেও কি রাশ টানতে হয়েছে? খোঁজ নিল আনন্দবাজার ডট কম।
গত ২৬ জানুয়ারি পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন রূপসা। ছটফটে প্রাণোচ্ছ্বল ভাবমূর্তি অভিনেত্রীর। মা হওয়ার পরে দায়িত্ব বাড়লেও একই রকম রয়েছেন তিনি। বরাবরই খাদ্যরসিক রূপসা। তাই নববর্ষেও কব্জি ডুবিয়ে বাঙালি খাবার খাবেন অভিনেত্রী। তবে রান্নায় তেল-মশলার দিকে নজর রাখছেন তিনি। রূপসা বলেন, “আমি বাঙালি খাবার খেতে খুব ভালবাসি। আমাদের যে কোনও অনুষ্ঠানে মধ্যাহ্নভোজে খাঁটি বাঙালি খাবার থাকবেই। নববর্ষে তো বাঙালি খাবার ছাড়া ভাবতেই পারি না। তবে তেল-মশলা কম থাকবে রান্নায়।”
সন্তান মাতৃদুগ্ধ পান করে। তাই খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে সচেতন থাকতে হয় মাদেরও। অনেকেই এমন নানা রকমের পরামর্শ দিয়েছেন রূপসাকে। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর মন্তব্য, “আমার ভ্লগে এসে মানুষ নানা ধরনের মন্তব্য করে। কোনটা খাওয়া উচিত, কোনটা খাওয়া উচিত নয়— নানা রকমের পরামর্শ দেন তাঁরা। অনেকে বলে, সেলাই শুকোয়নি, তাই আমের চাটনি খাওয়া উচিত নয়। অনেকে বলে আমার বদহজম হলে বাচ্চারও বদহজম হবে। তবে আমি নিশ্চিত, সব নতুন মায়েদেরই এ সব শুনতে হয়।”
এই সব পরামর্শ শুনে চিকিৎসকের সঙ্গেও কথা বলেছেন রূপসা। কিন্তু চিকিৎসক বিজ্ঞানসম্মত কারণ দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন এমন কিছুই হয় না। রূপসার কথায়, “দুধ তো আমাদের রক্ত থেকে তৈরি হচ্ছে। তাই আমার খাবারের সঙ্গে বাচ্চার বদহজম হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।”
প্রায় একই বক্তব্য অনিন্দিতা রায়চৌধুরীরও। মার্চ মাসের শুরুতে কন্যাসন্তান এসেছে তাঁর কোলে। মাত্র এক মাস বয়স কন্যার। তবে নিজের খাওয়াদাওয়ায় আলাদা করে রাশ টানেননি অভিনেত্রী। নববর্ষে পরিবার নিয়ে বাঙালি ভূরিভোজের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁরও। সেই খাবারের তালিকায় সাদা ভাত ও পাঁঠার মাংস থাকবেই।
আরও পড়ুন:
অনিন্দিতার কথায়, “আমরা খেতে খুব ভালবাসি। তবে বরাবরই আমি খাওয়াদাওয়ায় সামান্য নিয়ন্ত্রণ মেনে চলি। আর এখন ঘুম ও জেগে থাকার সময়ও এ দিক ও দিক হয়ে গিয়েছে, তাই কিছু বিষয় মেনে চলতে হচ্ছে। তা ছাড়া হরমোনের পরিবর্তনও হয়। কিন্তু পয়লা বৈশাখে বাঙালি খাবার খেতেই হবে।”
যদিও মিষ্টি খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিয়েছেন অনিন্দিতা। তাঁর কথায়, “আসলে মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর সঙ্গে মায়ের খাওয়াদাওয়ার কোনও সরাসরি যোগ নেই। মায়ের শরীর যাতে সুস্থ থাকে, সে জন্যই সতর্ক থাকতে বলা হয় খাওয়াদাওয়া নিয়ে। কারণ এই সময়ে মায়ের শরীর খারাপ করলে পরোক্ষ ভাবে তার প্রভাব পড়ে সন্তানের উপর। তবে আমি ডায়াবেটিক। তাই আমি মিষ্টি খাই না।”
অনিন্দিতা জানান, নিজে রান্না করার কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে নিজে হাতে পাঁঠার মাংস রাঁধতে সিদ্ধহস্ত তাঁর স্বামী তথা অভিনেতা সুদীপ সরকার। তাই নববর্ষেও হয়তো তিনিই মাংস রাঁধবেন বলে জানান অনিন্দিতা। খাবারের সমাপ্তি হবে বিশেষ পান দিয়ে। অনিন্দিতার কথায়, “পান খেতে আমি খুব ভালবাসি। অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন টানা ন’মাস পান খেতে পারিনি। তাই ওটা নিয়ে আমি খুব উৎসাহী।”