এ বার চর্চায় মদন-শ্রীতমা?
পার্থ-অর্পিতা কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। টলিউডের মন্ত্রী-যোগ খোঁজার হিড়িকে ফের চর্চায় মদন মিত্রের সঙ্গে অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ ছবি। সত্যিই কি দু’জনে কাছাকাছি? হদিসে আনন্দবাজার অনলাইন।
প্রশ্ন: পার্থ চট্টোপাধ্যায়-অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের পরেই নাকি নজরে মদন মিত্র-শ্রীতমা ভট্টাচার্য?
শ্রীতমা: তাই নাকি? কে বলছেন এ সব? আমায় কিন্তু কেউ কিচ্ছু বলছেন না। এই নিয়ে কোনও চাপও তৈরি করছেন না কেউ।
প্রশ্ন: মুখে হয়তো কেউ বলছেন না, তবে খবর ইন্ডাস্ট্রিতে চর্চা হচ্ছে...
শ্রীতমা: আমার সঙ্গে বা যে কোনও তারকার সঙ্গে রাজনীতিবিদদের জড়িয়ে এত কথা কিন্তু অর্থহীন। রাজনীতিতে আসার আগেও অভিনেত্রী শ্রীতমা কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ পেয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুণীর কদর করতে জানেন। শিল্পীদের খুব ভালওবাসেন। সেই সূত্রে আমাদের পারস্পরিক আদানপ্রদান থাকেই। আর নির্বাচনে জিতে পৌরমাতা হওয়ার পরে রাজনীতিবিদদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক একদম পেশাগত। ওঁরা কেউ আমার মন্ত্রী, বিধায়ক বা সাংসদ। আমি পুরমাতা। যেমন, মদন মিত্রের এলাকায় আমি পুরমাতা।
প্রশ্ন: এর বাইরে মদন মিত্রর সঙ্গে আর কিচ্ছু নেই?
শ্রীতমা: হ্যাঁ, আছে তো। ওঁকে আমি আমার বাবার বন্ধু হিসেবে বহু বছর আগে থেকেই চিনি। মদন মিত্রের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক। বাবার ওপেন হার্ট সার্জারির সময় মদনদা এবং ওঁর পুরো পরিবার আমাদের পাশে ছিলেন। অস্ত্রোপচার থেকে ওষুধ— বাবার চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব কামারহাটির বিধায়ক নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলেন। বাবা চলে যাওয়ার পরে উনিই আমার বাবার জায়গা নিয়েছেন। মদন মিত্র শ্রীতমা ভট্টাচার্যের অভিভাবক। আর আমাকে নিয়ে গুঞ্জন তো নতুন নয়!
প্রশ্ন: যেমন?
শ্রীতমা: কয়েক মাস আগে আমার বিয়ে নিয়েও টেলিপাড়ায় তোলপাড়া হয়েছে। আমি নাকি বিয়ে করেছি। কাকে করেছি? আমি তো জানিই না। সমালোচকেরাও জানেন না! উল্টে আজ অমুকের সঙ্গে, তো পরের দিন অন্য কারও সঙ্গে আমায় ইচ্ছেমতো জুড়ে দিয়েছে। কিন্তু সঠিক কারও নাম বলতে পারেননি। একটা সময়ের পরে সেই বিতর্ক থেমে গিয়েছে। সে ভাবেই এখন মদন মিত্রকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
প্রশ্ন: এ সব শুনলে নিশ্চয়ই খারাপ লাগে?
শ্রীতমা: অবশ্যই। আমার সঙ্গে আমার মায়ের কী সম্পর্ক? এই প্রশ্ন শুনলে যেমন কষ্ট পাই মদন মিত্রকে জড়িয়ে কোনও কথা ছড়ালেও খুব খারাপ লাগে। সবাই মনে করেন, আমরা রঙিন জগতের বাসিন্দা। তাই বাস্তবেও ভীষণই রঙিন!
প্রশ্ন: আপনাদের কিছু ‘ঘনিষ্ঠ ছবি’ও ভাইরাল নেটমাধ্যমে...
শ্রীতমা: মদন মিত্রর সঙ্গে খুব ‘ঘনিষ্ঠ ছবি’ আদৌ কি আমার আছে? যাঁরা এ সব বলছেন, তাঁরা কোন ছবি দেখে বলছেন কে জানে! আমি আপনাকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুললেই আপনি আর আমি কি খুব ঘনিষ্ঠ? বাকিদের কাছে ঘনিষ্ঠতার মাপকাঠি ঠিক কী? আমার জানা নেই। তার পরেও বলব, মদন মিত্রর সঙ্গে যে ছবি নিয়ে এত চর্চা হচ্ছে, সেগুলো কিন্তু এক জন মেয়ে তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে তুলেছে। তাই আমার কোনও অস্বস্তি নেই। আমাদের সম্পর্ক খুব সুস্থ।
প্রশ্ন: তারকাদের সঙ্গে রাজনীতিবিদদের আদানপ্রদান শুধুই পেশাগত? নাকি অর্থ, ক্ষমতার লোভ?
শ্রীতমা: আমার দিকটা আমি বলি? অভিনেত্রীর পাশাপাশি সবাই আমায় রাজনীতিবিদ হিসেবেও চেনেন, ভালবাসেন। এর বাইরে গিয়ে আমিও কিছু চাইনি। আমাকেও কেউ কিছু দেননি। বাকিদের সম্পর্কে কিছু বলা আমায় মানায় না।
প্রশ্ন: অর্থাৎ, শুধুই ‘মানুষের জন্য কাজ’ করতেই আপনিও রাজনীতিতে?
শ্রীতমা: আমি রাজনীতি ভালবাসি। তাই আমি রাজনৈতিক মঞ্চে। আমি কিন্তু রাজনীতিতে আসার অনেক আগে থেকে মানুষের জন্য কাজ করি। এটা আমার এলাকার বাসিন্দারা জানেন। চাইলে, আরও বড় পদে হয়তো নির্বাচিত হতে পারতাম। হইনি। কারণ, আমি আমার ক্ষমতা জানি। তা ছাড়া, আমি আমার এলাকার উন্নতি চেয়েছি। সেখানকার মানুষদের পাশে থাকতে চেয়েছি। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীও যথেষ্ট সহায়তা করেছেন। আসলে, সব বিষয়েরই একটা নেতিবাচক প্রচার থাকে। এবং সংবাদমাধ্যমও সব সময় মুখরোচক রসদ খোঁজে। তাই হয়তো এত গুঞ্জন ছড়ায়। ইতিবাচক দৃষ্টি নিয়ে দেখলে হয়তো কোনও কিছুই অশোভন মনে হবে না।
প্রশ্ন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, পার্থ-অর্পিতা কাণ্ড বিরোধীদের চক্রান্ত। আপনি কী বলছেন?
শ্রীতমা: আমি রাজনীতিতে আনকোরা। প্রত্যক্ষ রাজনীতির বয়স মাত্র তিন মাস। তাই এই নিয়ে আমি কিচ্ছু বলব না।
প্রশ্ন: আগেও তারকারা রাজনীতি করতেন, তাই নিয়ে এত হইচই হত না...
শ্রীতমা: অবশ্যই আগেও তারকারা রাজনীতি করতেন। এখনও করেন। কিন্তু অতীতে নেটমাধ্যম ছিল না। ফলে, তাঁরা কী করছেন না করছেন, কেউ কিচ্ছু জানতে পারতেন না। এখন বিজ্ঞানের সৌজন্যে সেটা সম্ভব হচ্ছে। ফলে, আমার আর মদন মিত্রর তথাকথিত ‘ঘনিষ্ঠ ছবি’ও ভাইরাল হচ্ছে! (হাসি)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy