জমি কেড়ে নিলে ওরা যাবে কোথায়?
একের পর এক অট্টালিকা গজিয়ে উঠছে শহরের বুকে। উধাও হয়ে যাচ্ছে পায়ে-চলা পথ। পথকুকুররা যাবে কোথায়? প্রশ্ন তুললেন পশুপ্রেমী অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। তাঁর দাবি, আবাসনগুলোকে সে ক্ষেত্রে সারমেয়-বান্ধব ঘোষণা করা হোক। ওদের জন্য জায়গা নেই বলে ধরে ধরে নির্বীজকরণ কিংবা হত্যা করা কি আদৌ মানবিক? এর বিচার চান ‘রেনবো জেলি’-র অভিনেত্রী।
আনন্দবাজার অনলাইনকে শ্রীলেখা জানালেন, আজকাল আর মানুষের সঙ্গে মেশার তাগিদ বোধ করেন না তিনি। নতুন বন্ধুত্ব লালন করার চেয়ে সারমেয়দের সঙ্গ তাঁকে বেশি শান্তি দেয়। কিন্তু ওদের রাখবেন কোথায়? খেতে দেওয়া নিয়েও সমস্যা। বাড়ির আশপাশে পথকুকুর দেখলেই মারমুখী হয়ে পড়ছেন প্রতিবেশীরা— এমনটাই অভিযোগ শ্রীলেখার। তাঁর কথায়, “ব্রিড করা বিভিন্ন জাতের কুকুর বাড়িতে পোষেন অনেকে। এ দিকে পথকুকুরদের সহ্য করতে পারেন না। জীবাণুর মতো ঘৃণ্য মনে করেন। এটা কী ভাবে সম্ভব, বুঝি না। কুকুর ভালবাসলে তো সব কুকুরই তাঁদের ভাল লাগার কথা। অনেককে দেখি ছোটদেরও এই ভাবে ভাবতে শেখাচ্ছেন। ওদের সঙ্গে খেলতে দিচ্ছেন না। কামড়ে দেবে, নোংরা— এ সব বলে ভয় ধরিয়ে দিচ্ছেন। সেটা কেন? আগামী প্রজন্মের মনে বিষ ঢুকিয়ে স্বার্থপর করে তোলা হচ্ছে ওদেরও।”
ফ্ল্যাটবাড়ির বাসিন্দাদের এই মনোভাব অভিনেত্রীকে ক্ষুব্ধ করছে। তাঁর আর্জি, কোনও আবাসন তৈরির সময়ে আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হোক, সেটি সারমেয়-বান্ধব, নাকি নয়। তা হলে অহেতুক হেনস্থার শিকার হতে হয় না কুকুরপ্রেমীদেরও। শ্রীলেখা আরও জানান, তিনি হরিদেবপুর থানায় এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানিয়েছিলেন দু’বার। তবু কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। কুকুর বলেই কি এত অবজ্ঞা? নাকি আরও কেউ ইন্ধন দিয়ে মামলা আদালত অবধি গড়াতে দেননি?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy