মেয়ের সঙ্গে শ্রীলেখা
পিতৃদিবস। এই দিনটা কি শুধুই সাধারণ বাবাদের? নাকি সেই বাবাদেরও, যাঁরা বিবাহবিচ্ছেদের পরেও আগের মতোই আগলে রাখেন সন্তানকে? টলিপাড়ার একলা মা শ্রীলেখা মিত্র শোনালেন তেমনই এক বাবার গল্প। প্রাক্তন স্বামী শিলাদিত্যর সঙ্গে হাত মিলিয়ে মেয়েকে বড় করার কাহিনি।
প্রায় ১০ বছর হল স্বামী শিলাদিত্যর সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদ হয়েছে। মেয়ের দায়িত্ব কি শ্রীলেখার একার কাঁধেই? আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্নে অভিনেত্রীর স্পষ্ট উত্তর, “না, একদমই নয়। শিলাদিত্য হল সব থেকে ভাল বাবা। আজকের দিনটা শুধুই শিলাদিত্যর। আমি কোনও দিনই একা মাইয়াকে বড় করিনি। ২০১৩-এ আমাদের আইনি বিচ্ছেদ হয়। তার আগের প্রায় দেড় বছর আলাদা থাকতাম। কোনও দিন মেয়েকে নিয়ে টানাটানি করিনি। সন্তানকে বড় করছি আমরা একসঙ্গেই।’’
শ্রীলেখা জানান, ছোট থেকেই খুব বুঝদার তাঁর মেয়ে। বাবা-মায়ের আলাদা থাকা নিয়ে কোনও দিন কান্নাকাটিও করেনি। বাবা-মায়ের আলাদা থাকাটাকে নিজের মতো করেই মানতে শিখেছে মাইয়া। তাঁর কথায়, ‘‘কোনও দিন ওকে দেখিনি মনখারাপ করেছে, বা বলেছে কেন মা-বাবা একসঙ্গে থাকে না। নিজের মনে মনে যদি কষ্ট পেয়েও থাকে, নিজের মতো বুঝিয়েছে নিজেকে।’’
আর মেয়ের পড়াশোনা?
অভিনেত্রী বলেন, ‘‘মাইয়ার বাবাই ওকে পড়ায়। কার কাছে পড়তে যাবে সেগুলো ঠিক করে দেয়। আমার অত ধৈর্যই নেই। বায়োলজির বইয়ে অতগুলো চ্যাপ্টার দেখেই আমার ভয় লাগে, ওর বাবা পড়াতেও ভালবাসে।’’
শ্রীলেখা জানান, সপ্তাহের চার দিন তাঁর কাছে, তিন দিন বাবার কাছে থাকে মেয়ে। এই কয়েক দিন আগেই বাবার সঙ্গে পাহাড় ঘুরে এসেছে মেয়ে। বাবা বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে গিয়েছেন আবার। কোনও দিন ইচ্ছে হলে একসঙ্গে খেতেও গিয়েছেন রেস্তরাঁয়। অভিনেত্রীর দাবি, ‘‘আমি একার কৃতিত্ব নিতেই পারব না। কারণ মাইয়াকে আমি একা মানুষ করিনি। ওকে বড় করার আশি শতাংশ কৃতিত্ব শিলাদিত্যর। এই বিশেষ দিনটা শুধুমাত্র শিলাদিত্যরই হয়ে থাক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy