অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।
নেটাগরিক মানেই ট্রোল— এই ধারণা ভাঙলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। ট্রোল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে কমছে বলে দাবি অভিনেত্রীর। অন্তত নিজের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা ইউটিউব চ্যানেলে অন্য চেহারা নজরে আসছে তাঁর। মানসিকতা যেন বদলাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে তাঁর। নিজের বক্তব্যের পক্ষে যুক্তিও দিলেন তিনি।
আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি জানালেন, মে মাসের শেষের দিকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন ফেসবুকে। যেখানে দেখা যায়, তাঁর পোষ্য, আদর (যাঁকে শ্রীলেখা নিজের মেজ ছেলে বলে মনে করেন) অভিনেত্রীর একটি অন্তর্বাস (ব্রা) নিয়ে খেলা করছিল। আদর কামড়ে ধরেছিল অন্তর্বাসের একটি অংশ। শ্রীলেখা চেষ্টা করেও ছা়ড়াতে পারছিলেন না। এক বার সরিয়ে নেওয়ার পরে আদর সেই কাপড়ের টুকরোর দিকেই এগিয়ে যায়। দাঁত শিরশিরানির জন্য যা প্রায়শই করে থাকে পোষ্যরা। মজা করে সেই ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন অভিনেত্রী। শব্দ নিয়ে খেলা করে তিনি লিখেছিলেন, ‘আদরের ব্রা ডরামি’।
সেখানে জনৈক নেটাগরিক তাঁকে লিখেছিলেন, নেটমাধ্যমে এ ধরনের মন্তব্য করা উচিত নয়। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘আমাকে খুব কিছু বলতে হয়নি। আমার অনুরাগীরা এবং কমরেডরাই তাঁকে জবাব দিয়ে দিয়েছিলেন। আমার মন্তব্যে যে কোথাও বিকৃত যৌনতা প্রকাশ পায়নি, তা বুঝেছিলেন অনুরাগীরাই। তাঁরাই বলেছিলেন, অন্তর্বাস বলে লুকিয়ে রাখতে হবে, এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।’’
শ্রীলেখার কথায়, ‘‘আমি যে শরীর সর্বস্ব নই, তা বোঝেন আমার অনুরাগীরা। ইউটিউবে আমার চ্যানেলের প্রতিটি পর্বে কিছু না কিছু বিষয় দিয়ে রাখি, যা নিয়ে মানুষ ভাবতে পারে। যাঁরা কেবল রিল ভিডিয়ো করেন তাঁদের অপমান না করেই বলছি, ও সব ভালবাসি না আমি। মস্তিষ্কের রসদ থাকে আমার যে কোনও পোস্টে।’’
অভিনেত্রীর মতে, তাঁর মননের সঙ্গে পরিচিতি ঘটছে নেটাগরিকদের। তাঁর মনে হয়, আজকের দিনে মানুষ আর অত বোকা নেই যে তাঁরা উদ্দেশ্য বুঝবেন না। তাঁর কথায়, ‘‘আমি কী রকম জীবন যাপন করছি, বা কী পোশাক পরে ছবি দিচ্ছি, তার বাইরেও আমার নিজস্বতা রয়েছে।’’
শ্রীলেখা মনে করেন, তাঁর পোস্টে ট্রোলিংয়ের সংখ্যা কমে যাওয়ার একটা বড় কারণ এগুলোই। অনেকেই শ্রীলেখার ভিডিয়ো বা ছবি দেখে অনুপ্রাণিত হন। এমন কথাও লেখেন অনুরাগীরা। কেবল এক জন মহিলা নন, এক জন মানুষ হিসেবে তাঁকে চাইবে মানুষ, এই আশায় রয়েছেন অভিনেত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy