মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের দীক্ষার দিন আর শান্তিনিকেতনের বার্ষিক উৎসব এক দিনে পালিত হয়েছিল।
৭ পৌষ, বিশ্বকবির স্বপ্নের বিশ্বভারতীর শতবর্ষ। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের দীক্ষার দিন আর শান্তিনিকেতনের বার্ষিক উৎসব এক দিনে পালিত হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ সেই প্রসঙ্গে লিখেছিলেন, ‘শান্তিনিকেতনের সাম্বৎসরিক উৎসবের সফলতার মর্মস্থান যদি উদ্ঘাটন করে দেখি তবে দেখতে পাব, এর মধ্যে সেই বীজ অমর হয়ে আছে। যে বীজ থেকে এই আশ্রম-বনস্পতি জন্ম লাভ করেছে; সে হচ্ছে সেই দীক্ষা গ্রহণের বীজ।.... সেই ৭ই পৌষ এই শান্তিনিকেতন আশ্রমকে সৃষ্টি করেছে এবং এখন ও প্রতিদিন একে সৃষ্টি করে তুলেছে।’
সেই উপলক্ষে ২২ ডিসেম্বর (৬ পৌষ ১৪২৮) মোহর-বীথিকা অঙ্গনে বিশেষ উপাসনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রকাশিত হবে স্মারক গ্রন্থও। আনুষ্ঠানিক ভাবে শতবর্ষ উদ্যাপনের সূচনা ২০২০-র বসন্তে। কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই প্রাঙ্গণের মূল উদ্দেশ্য, শান্তিনিকেতন আশ্রমের গড়ে ওঠার ইতিহাস, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে ধারণ ও বহন করা।
আগামী কাল সকাল সাড়ে আটটায় আয়োজিত বিশেষ উপাসনায় আচার্য হবেন বিশিষ্ট আশ্রমিক ও পাঠভবনের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সুপ্রিয় ঠাকুর। মন্ত্রপাঠে প্রাক্তন অধ্যাপিকা কল্পিকা মুখোপাধ্যায়। গানে চন্দন মুন্সী, অঙ্কন রায়, প্রিয়ম মুখোপাধ্যায়, নিবেদিতা সেনগুপ্ত, ঋতপা ভট্টাচার্য, শরণ্যা সেনগুপ্ত, ঋতজা চৌধুরী, মধুজা চট্টরাজ। পাঠে নীলাঞ্জনা সেন মজুমদার, অভীক ঘোষ। যন্ত্রানুষঙ্গে সৌগত দাস, সুতনু সরকার, শীতেশ হালদার, দিলীপ বীরবংশী, বিশ্বায়ন রায়। স্মারক গ্রন্থে লিখেছেন পবিত্র সরকার, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, প্রণবরঞ্জন রায়, সুশোভন অধিকারী, বিশ্বজিৎ রায়, অশোককুমার মুখোপাধ্যায়, গৌতম ভট্টাচার্য, অমিত্র সূদন ভট্টাচার্য প্রমুখ।
‘‘অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছে শান্তিনিকেতনের উপাসনার আঙ্গিকে। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ও ঠাকুরবাড়ির অন্যান্যদের রচিত ব্রহ্মসঙ্গীত এই উপাসনার এক বড় অংশ জুড়ে থাকবে’’, জানিয়েছেন ঋতপা ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানটি পরিকল্পনা এবং পরিচালনায় প্রিয়ম মুখোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy