স্নেহা
মা চেয়েছিলেন, মেয়ে পড়াশোনার জগতে থাকুক। তবে মেয়ের পরিকল্পনা ছিল অন্য। সেন্ট জ়েভিয়ার্স কলেজে সোশিওলজি নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করেছেন টেলিভিশনের পরিচিত মুখ, স্নেহা চট্টোপাধ্যায়। স্নাতকোত্তর স্তরে পড়ার জন্য পুণের সিমবায়োসিসে ইন্টারভিউ দিতেও গিয়েছিলেন। ‘‘ওখানে গিয়ে বুঝলাম, বাড়ি ছেড়ে থাকতে পারব না। পুণে থেকে ফেরার পথেই ‘এখানে আকাশ নীল’ ধারাবাহিকে মঞ্জরী চরিত্রটার জন্য প্রস্তাব পেয়েছিলাম,’’ বললেন অভিনেত্রী। টেলিভিশনে পরপর হিট ধারাবাহিকে কাজ করার পরে সম্প্রতি ‘বিসমিল্লা’র শুটিং শেষ করলেন স্নেহা। যেখানে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় অভিনীত চরিত্রের ছোট বৌয়ের ভূমিকায় তিনি।
২০০৮ সাল থেকে ধারাবাহিকে নিয়মিত মুখ স্নেহা। তার আগে অবশ্য নন-ফিকশন শোয়ে সঞ্চালনার কাজ করেছিলেন। ‘‘অডিশন, লুক টেস্ট দিয়ে যে দিন ‘এখানে আকাশ নীল’-এর ফ্লোরে গেলাম, সে দিনই বাড়িতে প্রথম জানিয়েছিলাম,’’ মনে করলেন অভিনেত্রী। ‘সুবর্ণলতা’ ধারাবাহিকের দৌলতে প্রথম বার জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। তার পরে ‘জলনূপুর’, ‘নকশিকাঁথা’র নেগেটিভ চরিত্রের জন্যই মূলত খ্যাতি তাঁর। ‘‘আমি ইমেজ ভাঙার চেষ্টা করেছি। ‘বিকেলে ভোরের ফুল’ ধারাবাহিকে পজ়িটিভ প্যারালাল লিড ছিলাম। ‘জলনূপুর’-এর পরে এত নেগেটিভের অফার পেতাম যে, সেগুলো আর করিনি,’’ জবাব তাঁর। হাতেগোনা কাজ করা নিয়ে আক্ষেপ নেই স্নেহার। ‘‘আমি অলস প্রকৃতির। হেসেখেলে কাজ করা পছন্দ করি।’’
প্যারালাল লিড করলেও মুখ্য চরিত্রে কেন দেখা যায় না স্নেহাকে? ‘‘আমি নিজের সীমাবদ্ধতা জানি। বয়সের তুলনায় আমার মুখ বরাবরই পরিণত। তাই মেগায় যেমন লিড চাওয়া হয়, আমার মুখ তেমন নয়। বলা হয়, অভিনেত্রীরা বয়স কমিয়ে বলে। বয়সের প্রমাণ দিতে ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড নিয়েও ঘুরেছি।’’ এই প্রসঙ্গে পুরনো একটি ঘটনাও বলে ফেললেন স্নেহা। ‘‘প্রথম দিকে কাজ করতে এসে বুঝতাম না, কাকে কেমন ছবি পাঠাতে হবে। আমার একটি ছবি দেখে দেবের মায়ের চরিত্রের অফারও এসেছিল! তবে সামনে দেখার পরে প্রযোজক বলেছিলেন, আর কোথাও যেন ওই ছবি না পাঠাই,’’ হাসি তাঁর কণ্ঠে।
স্নেহার স্বামী সংলাপ ভৌমিক ছবিতে এডিটিংয়ের কাজ করেন। সম্প্রতি তিনি ‘পরিণীতা’, ‘ধর্মযুদ্ধ’, ‘মিতিন মাসি’র মতো ছবিতে কাজ করেছেন। তবে স্নেহা-সংলাপের প্রেম ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগেই। ‘‘আমার বাড়ির কাছেই ও একটা মেসে থাকত। ওর কাছে গিটার শিখব বলে যোগাযোগ করি। তবে গিটার শেখা আর হয়নি,’’ মুচকি হাসি তাঁর মুখে।
বড় পর্দায় কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের বিপরীতে কাজ করা তাঁর কাছে বড় সুযোগ, ‘‘আমি কৌশিকদার ফ্যান।’’ এই ছবি তাঁর কাছে বড় পর্দার দরজা প্রশস্ত করবে বলে আশাবাদী স্নেহা।
ছবি: স্বপ্নিল সরকার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy