দুর্নিবার সাহা ও ঐন্দ্রিলা সেন। ছবি: সংগৃহীত।
পোষ্য সারমেয়কে নিয়ে যাচ্ছিলেন পরিচর্যা কেন্দ্রে। যাওয়ার পথে হামলার মুখে পড়লেন গায়ক দুর্নিবার সাহা ও তাঁর স্ত্রী, তথা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের আপ্তসহায়ক ঐন্দ্রিলা সেন। সমাজমাধ্যমে দুর্নিবার জানান, পথে দেখেন এক দল মানুষ কাজ করছেন। কিন্তু গাড়ি থেকে হর্ন বাজানোর পরেও তাঁরা সরে যাননি। এখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত।
দু্র্নিবার বলেন, “ভর দুপুরে রাস্তার মাঝে কাজ করছিলেন ওঁরা। কোথাও কোনও ‘স্টপ’ চিহ্ন ছিল না। পাঁচ-ছয় বার গাড়ির হর্ন বাজানোর পরেও তাঁরা না সরলে আমি গাড়ির কাচ নামাই এবং তাঁদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বলি যাতে গাড়িটা যেতে পারে। কিন্তু তাঁরা তেড়ে এসে খুব প্ররোচনামূলক কথা বলতে থাকেন। আমি বাধ্য হই গাড়ি থেকে নামতে।”
গাড়ি থেকে নামার পরেই দুর্নিবারের উপর চড়াও হন তাঁরা। এমনকি, গায়কের গলা চেপে ধরেন বলেও দাবি। দুর্নিবার ভিডিয়োয় দেখিয়ে বলেন, “আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমার গলায় দাগ। ওঁরা গলা চেপে ধরেছিলেন। আমি এখন ঢোঁক গিলতে পারছি না। আমার হাতের দাগও দেখতে পাবেন। নিজেকে বাঁচানোর জন্য হামলাকারীদের এক জনের গলা আমিও চেপে ধরি। ওঁরা তখন তিন চার জন মিলে রাস্তার উল্টো দিকে আমাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যান।”
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গাড়ি থেকে নামতে বাধ্য হন ঐন্দ্রিলাও। সেই প্রসঙ্গে দুর্নিবার বলেন, “মোহর (ঐন্দ্রিলা) গাড়ি থেকে নেমে খুব সাহসের সঙ্গে বলে, ‘সাহস থাকলে আমার গায় হাত দিয়ে দেখান’। আমি সত্যিই ওর কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক মহিলা মোহরকে দু’বার ধাক্কা দেন। মোহরেরও হাতে ব্যথা লেগেছে। লোক জড়ো হয়ে যায় রাস্তায়। শুধু রাত নয়, ভর দুপুরেও এমন হতে পারে। ওরা একটা কাঠের ডাল নিয়ে তেড়ে এসেছিল। শারীরিক ভাবে খুব আঘাত না হলেও, মানসিক ভাবে আমরা বিধ্বস্ত। যাঁদের চোখে মুখে অশিক্ষার ছাপ, তাঁদের থেকে দূরে থাকবেন।”
এই বিষয়ে নেতাজি নগর থানায় অভিযোগ জানাতে যাচ্ছেন বলেও জানান দুর্নিবার। গায়কের দাবি, “যাঁরা কাজ করছিলেন তাঁরা কোনও মিস্ত্রী নন। তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy