(বাঁ দিকে) ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। শ্রীলেখা মিত্র (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে প্রথম থেকেই সরব শ্রীলেখা মিত্র। মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচিতেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আরজি করের ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন’ বলে আখ্যা দেওয়ায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের উপরেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিনেত্রী। শনিবার সকালে ফেসবুক লাইভে এসে কার্যত ভেঙে পড়লেন অভিনেত্রী।
এ দিন ফেসবুক লাইভে বিনোদন জগতের কয়েক জন তারকাকে নাম না করে কটাক্ষও করেন শ্রীলেখা। তিনি বলেন, “আমি লজ্জিত ইন্ডাস্ট্রির লোকজনের নাটক দেখে। যাঁরা এই ঘটনাকে ‘অরাজনৈতিক’ বলছেন নিজেদের পিঠ বাঁচিয়ে চলার তাগিদে, উপরতলার মানুষকে না চটিয়ে। আর যাঁরা শঙ্খ বাজিয়ে বা কেঁদে ভিডিয়ো করছেন, তাঁরা খুব অন্যায় করছেন। এগুলি নির্যাতিতা ও তাঁর বাবা-মায়ের প্রতি অশ্রদ্ধা এবং পুরো আন্দোলনের প্রতি অশ্রদ্ধা। এর কড়া নিন্দা হওয়া উচিত।” ১৪ অগস্ট মধ্যরাতের ‘মেয়েরা, রাত দখল করো’ কর্মসূচিতে সংহতি জানাতে সিঙ্গাপুর থেকে শাঁখ বাজিয়ে একটি ভিডিয়ো ভাগ করেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তার পর থেকেই তিনি ট্রোল্ড হতে শুরু করেন। সেই ভিডিয়ো তিনি সরিয়েও দেন। একই ভাবে সমাজমাধ্যমে ভিডিয়ো করে কিছু বার্তা দেন অভিনেত্রী-সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
শ্রীলেখা কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছেন। তাঁর কথায়, “সাধারণ মানুষ এই রাগ কায়েম রাখুন। না চেয়েও আমরা সমাজমাধ্যমে নির্যাতিতার ছবি দেখে ফেলেছি। এই মৃত্যুকে যাঁরা প্রথমেই ‘আত্মহত্যা’ বলে দিয়েছিলেন, তাঁদেরও শাস্তি হওয়া উচিত।”
অভিনেত্রী জানান, আরজি কর-এর ঘটনায় তিনি মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন। ফলে নিজের কাজে পর্যন্ত মনোযোগ দিতে পারছেন না। শ্রীলেখার কথায়, “আমার ভাই, আমার পরিবারের সকলে আমাকে নিয়ে চিন্তিত। আমি একা থাকি। ওরা বলে, আমি এত কিছু বলে ফেলি, এর পর আমার একটা কিছু হয়ে যাবে।”
ভিডিয়োর শেষে অভিনেতাদের উদ্দেশে ফের শ্রীলেখা বলেন, “এটা নিয়ে দয়া করে নাটক করবেন না। ঘরের এক কোণে বসে ভাবুন। ক্ষমতা ও অর্থই সব কিছু নয়। নিজের কাছে সৎ থাকুন। নিজের আত্মাকে বিকিয়ে দেবেন না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy