ফাইল চিত্র।
শিলিগুড়ি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবকে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের অঙ্গ হিসাবে পালন করার জন্য পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের পরামর্শে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছে শিলিগুড়ি সিনে সোসাইটি। রবিবার সকালে হিলকার্ট রোডে একটি দফতরে মন্ত্রী সোসাইটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে ঠিক হয়েছে, কিছুদিনের মধ্যে নবান্নে লিখিতভাবে অনুরোধ পাঠানো হবে। পাশাপাশি, পর্যটনমন্ত্রীকেও আলাদা আবেদনপত্র দেওয়া হবে। তিনি তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন।
এ বছরই সিনে সোসাইটি ২৫ বছরে পা দিয়েছে। আর শিলিগুড়ির চলচ্চিত্র উৎসব পড়েছে ২০ বছরে। চলতি বছরের ১০-১৭ নভেম্বর কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের দু’দিন পরে অর্থাৎ ১৯-২৬ নভেম্বর শিলিগুড়িতে উৎসব হবে। দু’দশক ধরে সিনে সোসাইটি রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব করছে। তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের মাধ্যমে বেশ কিছু বিদেশি ছবিও উৎসবে আসে। দীনবন্ধু মঞ্চের ব্যবহার, পরিকাঠামো ক্ষেত্রে কিছু সহযোগিতা সিনে সোসাইটি পেয়ে থাকে। কিন্তু কলকাতায় প্রথম সারির যে সমস্ত সিনেমা দেখানো হয়, তা সাধারণত শিলিগুড়িতে আসে না। আবার পরিকাঠামোর অভাবে একাধিক প্রেক্ষাগৃহে উৎসব হয় না। শিলিগুড়িতে এই উৎসব নিয়ে দর্শকদের উৎসাহ থাকলেও উৎসব কলেবরে না বাড়ায় আক্ষেপ রয়েছে।
পর্যটনমন্ত্রী উৎসবটিকে বড় আকারে করার পক্ষপাতী। তিনি বলেন, ‘‘সিনে সোসাইটির আবেদনের ভিত্তিতে আমি মুখ্যমন্ত্রী, তথ্য সংস্কৃতি দফতর-সহ বিভিন্ন পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলব। কলকাতার পর শিলিগুড়িই মিশ্র জনজাতির বসবাস। বিভিন্ন ধরনের ছবি মানুষ দেখা পছন্দ করেন। এটাকে বড় করার প্রয়োজন রয়েছে। আরও আগে আমাদের বিষয়টা নিয়ে ভাবতে হত।’’ সিনে সোসাইটির সদস্যরা জানান, কলকাতা চলচিত্র উৎসবের অঙ্গ হলে শহরের একাধিক মাল্টিপ্লেক্স ও বিভিন্ন মঞ্চে ছবি দেখানো সম্ভব হবে। তাহলে বাড়বে ছবির সংখ্যাও। কলকাতা উৎসব কমিটির সঙ্গে থাকলে দেশের এবং বিদেশের নানা ছবি শহরে আসবে বলেও তাঁদের আশা। সিনে সোসাইটির সভাপতি সঞ্জীবন দত্তরাম এবং সম্পাদক প্রদীপ নাগ জানান, কলকাতার সহযোগিতা পেলে সিনেমা সংক্রান্ত সেমিনার, ডকুমেন্টরির পরিধিও বাড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy