শ্রেয়া ঘোষাল। ছবি: সংগৃহীত।
আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতার কনসার্ট পিছিয়ে দিয়েছিলেন সঙ্গীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল। সেপ্টেম্বরের বদলে কনসার্ট হল ১৯ অক্টোবর। শ্রেয়া এলেন, তত দিনে প্রায় ৭০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে এই ঘটনার। রাজপথে অনশনে জুনিয়র চিকিৎসকেরা। বিচারের দাবিতে অটল তাঁরা। এ সবের মাঝে কলকাতার মঞ্চে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কণ্ঠ ছাড়লেন গায়িকা।
কলকাতার এই ঘটনার প্রতিবাদে শামিল হয়েছে গোটা বিশ্ব। এই ঘটনার দিন কয়েকের মধ্যেই গানে গানে নিজের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন অরিজিৎ সিংহ। তাঁর গাওয়া ‘আর কবে’ নিমেষের মধ্যে ঘুরতে থাকে লোকের মুখে মুখে। প্রতিবাদের গান হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটি। ১৪ সেপ্টেম্বর যখন কলকাতার অনুষ্ঠান বাতিল করেন শ্রেয়া সেই সময় শিল্পী জানান, আরজি করের এই ঘটনা তাঁকে গভীর ভাবে প্রভাবিত করেছে। শ্রেয়া লেখেন, ‘‘এক জন মহিলা হিসাবে ঘটনার নৃশংসতায় আমি শিউরে উঠছি। নির্যাতিতাকে কী ধরনের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছিল, তা ভেবেই আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিবাদীদের পাশে দাঁড়ানো অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বের মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করছি।’’
প্রায় মাসখানেকের ব্যবধানে কলকাতায় এলেন শিল্পী। ঠিক যেমনটা সে দিন জানিয়েছিলেন সে কথাই যেন রাখলেন শিল্পী। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হলেন গায়িকা। নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়াম যখন প্রায় ভর্তি, সেই সময় শ্রেয়া গাইলেন, ‘যত ইচ্ছের ভাঙা ডানা, যত গল্প নজরবন্দি / যত সন্ধের যাওয়া মানা, যত রাত্রির অভিসন্ধি / সব মিথ্যের আর ধন্দের, তাই রক্তের সোঁদা গন্ধে / শুধু পৌঁছে যাবে, ঘুচে যাবে, বেঁধে রাখা গণ্ডি / এ যে শরীরের চিৎকার, জাগে ভাঙনের শব্দে / তাই ভাঙে পাড়, ভাসে ঘর, ভাঙে চেনা সুপ্তি / এ যে শরীরের চিৎকার, জাগে ভাঙনের শব্দে / তুমি বন্ধু আজ শুনবে…।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy