পরীমনি এবং শাকিব খান।
পরীমণি মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে জেলবন্দি। তাঁকে নিয়ে বাংলাদেশ উত্তাল। পরীমণির জীবন নিয়ে চলছে কাদা ছোড়াছুড়ি। কেউ আবার মনে করছেন, তাঁর গ্রেফতারের পিছনে হাত আছে প্রভাবশালী গোষ্ঠীর। দেরিতে হলেও দেশের ১৭ জন বিশিষ্ট মানুষ এই সব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এ বার পরীমণি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান। শনিবার ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘খেয়াল করছিলাম, অপেক্ষাও করছিলাম। প্রত্যাশা ছিল, বিপরীতে বেড়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। গত কয়েক দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনির হেফাজতে থেকে শুক্রবার আদালতের নির্দেশে পরীমণিকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সহকর্মী হিসেবে যতদূর জানি, পরীমণি বাবা-মা হীন। তার বেড়ে ওঠা, পারিবারিক ভাবে আর-পাঁচটা তরুণ-তরুণীর বেড়ে ওঠা, স্ট্রাগলে যথেষ্ট পার্থক্য আছে। হয়তো সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে পরীমণি অনেক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।’
এখানেই থেমে যাননি তিনি। তাঁর আরও সংযোজন, ‘১০ অগস্ট আদালত চত্বরে পরীমণির শতবর্ষী নানা তাঁর নাতনিকে দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন। করোনার এই ভয়াবহতাও আটকাতে পারেনি তার বৃদ্ধ নানাকে, রক্তকে উপেক্ষা করতে পারেনি রক্ত। কিন্তু সময় কী নিষ্ঠুর! পরীমণির সঙ্গে নাকি দেখাই হল না বৃদ্ধ নানার।’
নেটমাধ্যমে পরীমণিকে নিয়ে দেদার কুৎসা চলছে। এ প্রসঙ্গে শাকিব খান লিখেছেন, ‘পরীমণির মামলা এখন বিচারাধীন। ওই বিষয়ে কিছু বলছি না। সে যে মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে, তার কী অপরাধ সেটা বিশ্লেষণে যাচ্ছি না।’ দেশের আইন ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখছেন শাকিব। তাঁর বিশ্বাস, নিরপেক্ষ বিচার হবে। তবে বিচারের আগেই সহকর্মীকে কাঠগড়ায় তুলে দেওয়ার প্রবণতা মেনে নিতে পারছেন না তিনি।
পরীমণির ঘটনায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির অবস্থানে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শাকিব, ‘আরও দুঃখজনক ঘটনা হচ্ছে, গত কয়েক দিন ধরে খেয়াল করছি শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে পরীমণির গ্রেফতারের পর তার প্রতি কোনও ধরনের সহযোগিতার হাত না বাড়িয়ে, দুঃসময়ে শিল্পীর পাশে না থেকে, উল্টে তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। মুহূর্তে পরীমণির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে! এ যেন কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে!’
সমিতির এমন আচরণকে রহস্যজনক বলে মনে করছেন শাকিব। তিনি মনে করছেন, পরীমণি বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার। শাকিব লিখেছেন, ‘বিগত দিনেও একাধিক সিনিয়র শিল্পী এর চেয়েও ভয়ঙ্কর অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। কিন্তু তখনকার শিল্পী সমিতি অভিযুক্ত সদস্যের সদস্যপদ স্থগিত করেনি। বরং পাশে ছিল, রাস্তায় নেমেছিল। কিন্তু এখনকার শিল্পী সমিতির এ সব আচরণ বিতর্কিত।’
যে সব শিল্পীরা খুব বেশি কাজ না করেও বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন, তাঁদের আয়ের উৎস খুঁজে বার করার পরামর্শও দিয়েছেন শাকিব।
পরিশেষে, নিজের ছবির নায়িকার জন্য সুবিচার চেয়েছেন শাকিব। তাঁর আশা, অভিজ্ঞতা থেকে পরীমণি শিক্ষা নেবেন। যে শিক্ষা তাঁর আগামী জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy