Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Sayantika Banerjee

হোটেলে নায়ক জায়েদ খানের সঙ্গে ৪ ঘণ্টা! সায়ন্তিকার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ প্রযোজকের

‘ছায়াবাজ’ ছবির নায়ক জায়েদ খান ও সায়ন্তিকার দিকে ইঙ্গিত করে বিস্ফোরক মন্তব্য প্রযোজক মনিরুল ইসলামের।

(বাঁ দিক) জায়েদ খান। (ডান দিকে) সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।

(বাঁ দিক) জায়েদ খান। (ডান দিকে) সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:০৮
Share: Save:

সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ‘ছায়াবাজ’ ছবির শুটিং করতে বাংলাদেশে যান অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সপ্তাহখানেক ছিলেন সেখানে। তবে আচমকাই মাঝপথে শুটিং ফেলে কলকাতা ফিরে আসেন অভিনেত্রী। শোনা যাচ্ছিল, নৃত্য পরিচালক মাইকেল ও প্রযোজক মনিরুল ইসলামের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে বাংলাদেশ থেকে চলে আসেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রীকে প্রযোজকের কারণে চূড়ান্ত হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। সায়ন্তিকার এ হেন অভিযোগে পাল্টা চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন ছবির প্রযোজক মনিরুল ইসলাম। ‘ছায়াবাজ’ ছবির নায়ক জায়েদ খান ও সায়ন্তিকার দিকে ইঙ্গিত করে কুরুচিকর মন্তব্য করেন এই প্রযোজক।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম যুগান্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রযোজক মনিরুল ইসলামকে নিয়ে যে অব্যবস্থা, অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন তা নস্যাৎ করে দিয়েছেন। প্রযোজক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘সায়ন্তিকার সব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হাস্যকর। হাত ধরা নিয়ে সায়ন্তিকার সমস্যা মাইকেলবাবুর সঙ্গে। পরিচালককে ফোন করে মাইকেলবাবুকে মারতেও চেয়েছিলাম। এখন আমার বিরুদ্ধে সায়ন্তিকা কেন অভিযোগ করছেন, সেটাই তো বোধগম্য নয়।”

শুটিংয়ে অব্যবস্থাপনার যে অভিযোগ অভিনেত্রী আনেন, সেই প্রসঙ্গে মনিরুল বলেন, ‘‘কী ভাবে শুটিং হবে, এটা ঠিক করেন পরিচালক। আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল গানের দৃশ্য দিয়ে শুরু হবে শুটিং। অপেশাদারি আচরণ আমি নই, সায়ন্তিকা করেছেন। চুক্তির বাইরে আমরা তাঁকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি পোশাকের জন্য। অথচ তিনি পোশাক না নিয়ে চলে আসেন। এর পর আবার ড্রেসম্যান মনিরকে দিয়ে পোশাকের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সেই পোশাকগুলোও সায়ন্তিকা ফেরত দিয়ে যাননি।’’

পোশাক নিয়ে চম্পট দেওয়া ছাড়াও আরও এক বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন মনিরুল। এ বার সায়ন্তিকার সঙ্গে টেনে আনলেন জায়েদ খানকেও। তিনি বলেন, ‘‘গানের শুটিংয়ে পোশাক পরিবর্তন করার জন্য ২টোর সময় হোটেলে যান নায়ক-নায়িকা। ফিরে আসেন সন্ধ্যা ৬টায়। ড্রেস চেঞ্জ করতে চার ঘণ্টা সময় লাগে, এমনটি কখনও দেখিনি।’’ অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ থেকে বিষয়টি এখন কাদা ছোড়াছুড়ির পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর মাঝেই প্রশ্ন উঠছে ‘ছায়াবাজ’ ছবির ভবিষ্যৎ নিয়ে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy