স্যাম
গত কয়েক দিনে যতগুলো প্রেডিকশন লিস্ট প্রকাশিত হয়েছিল, কোথাও ‘নাইন্টিন সেভেন্টিন’-এর নাম ছিল না। সর্বত্রই ‘জোকার’ এবং ‘দ্য আইরিশম্যান’-এর জয়জয়কার। কিন্তু গোল্ডেন গ্লোবের মঞ্চে মার্টিন স্করসেসি এবং টড ফিলিপ্সকে টেক্কা দিয়ে সেরা ছবি (ড্রামা) এবং সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেলেন স্যাম মেন্ডেস। তাঁকে লড়তে হয়েছিল কোয়েন্টিন টারান্টিনোর সঙ্গেও। সিনেমা-সিরিজ় দুই মাধ্যমেই ‘অপ্রত্যাশিত’রাই এ বার ছিনিয়ে নিল অধিকাংশ পুরস্কার।
হলিউডে এ বার পিরিয়ড ফিল্মের রমরমা। সেরা ছবি (ড্রামা, মিউজ়িক্যাল-কমেডি) তালিকায় অধিকাংশই এই ঘরানার। মিউজ়িক্যাল-কমেডিতে সেরা ছবি ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন... হলিউড’। এই ছবির জন্য ব্র্যাড পিট পেয়েছেন সেরা সহ-অভিনেতার পুরস্কার। সেরা স্ক্রিনপ্লেও জিতে নিয়েছেন টারেন্টিনো। প্রত্যাশামতো সেরা অভিনেতা হয়েছেন ওয়াকিন ফিনিক্স (জোকার)। তবে সেরা অভিনেত্রী রেনে জ়েলওয়েগারের (জুডি) পুরস্কারপ্রাপ্তি কিন্তু চমক।
বিদেশি ছবির বিভাগে সেরা হয়েছে বং জুন-হোয়ের ‘প্যারাসাইট’। প্রতিপক্ষে ছিল পেদ্রো আলমোদোভারের মতো ওজনদার নামও। ‘ফ্রোজ়েন টু’ নয়, সেরা অ্যানিমেশন পেল ‘মিসিং লিঙ্ক’। টিভি সিরিজ়ের ক্ষেত্রে মিউজ়িক্যাল-কমেডি বিভাগে সেরার পুরস্কার পেল ‘ফ্লিব্যাগ’। ‘সাকসেশন’ পেয়েছে সেরা টিভি সিরিজ় ড্রামা। লিমিটেড সিরিজ়ে ‘চের্নোবিল’ই সেরার পুরস্কার জিতেছে। বিশেষ স্বীকৃতি পেলেন টম হ্যাঙ্কস এবং এলেন িডজেনেরেস।
এই অ্যাওয়ার্ড মঞ্চে নেপথ্যে, প্রকাশ্যেও অনেক কাহিনি থাকে। গত কয়েক বারের মতো সঞ্চালক রিকি জিভেস এ বারও কয়েক জনকে একহাত নিলেন। মার্ভেল ফিল্মসকে নিয়ে মার্টিন স্করসেসির মন্তব্য সংক্রান্ত বিতর্ক এখনও অব্যাহত। ঠোঁটকাটা রিকি সেই প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘‘ওঁর মতো আমারও মনে হয়, মার্ভেলের ছবিগুলো থিম পার্কের মতো। আসলে উনি এতটা বড় এখনও হননি যে, রাইডে চড়তে পারবেন। তাই ওঁকে থিম পার্কের আশপাশেই ঘুরঘুর করে কাটাতে হচ্ছে।’’ নিন্দিত হলেনই, উপরন্তু স্করসেসির ভাগ্যে কোনও পুরস্কারও ছিল না। রিকি ছাড়েননি লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও-কেও। অল্পবয়সি প্রেমিকা প্রসঙ্গে লিওকে কটাক্ষ করেছেন রিকি। সমালোচিত হয়েছেন বেয়ন্সেও। ওয়াকিন পুরস্কার পাওয়ার সময়ে স্ট্যান্ডিং ওভেশন পেলেও, বসেছিলেন বেয়ন্সে।
সকলের চোখে পড়েছে জেনিফার অ্যানিস্টনের প্রতিক্রিয়াও। পুরস্কার নেওয়ার পরে ব্র্যাড পিট তাঁর স্পিচে বলেন, ‘‘ভেবেছিলাম মাকে নিয়ে এখানে আসব। কিন্তু আমার পাশে যে-ই বসবে, তাঁকেই আমার ‘ডেট’ বানিয়ে দেওয়া হবে। সেই ভয়ে নিয়ে এলাম না!’’ ব্র্যাডের মন্তব্যে সকলের মুখে হাসি আর জেনিফারের চক্ষু ছানাবড়া!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy