চলতি বছরে এপ্রিল মাসে সলমন খানের বাড়িতে গুলি চালায় বিশ্নোই গ্যাং। তার মাস কয়েকের ব্যবধানেই বড় পদক্ষেপ। সলমন ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে প্রকাশ্যে রাস্তায় খুন করল এই গ্যাংয়ের সদস্যেরা। অন্তত তাঁরা এমনটাই দাবি করেছেন। ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশান সিদ্দিকিরও। এর মাঝেই সলমন খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটের বাইরে বসল এসআরপিএফ। আর কী কী রদবদল হল তাঁর নিরাপত্তায়?
সলমনের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টটি ঘিরে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার বলয়ে। যদিও এই ঘটনা প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেননি ভাইজান। মাস কয়েক আগে থেকে বুলেটপ্রুফ গাড়িতে চড়েন। পাশাপাশি ওয়াই প্লাস নিরাপত্তাও রয়েছে। এ বার তিনি যেখানেই যাবেন তাঁর গাড়ির পিছনে থাকবে মুম্বই পুলিশের গাড়ি। সঙ্গে থাকবেন সব রকম অস্ত্র চালাতে সক্ষম দুই কনস্টেবল। এ ছাড়া তাঁর বাড়ির বাইরে থাকছে স্পেশ্যাল রিসার্ভ পুলিশ ফোর্স, অর্থাৎ এসআরপিএফ।
সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রমাণের অভাবে ছেড়েও দিয়েছিল পুলিশ। মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকির খুনে সেই একই ব্যক্তি এ বার সন্দেহভাজনের তালিকায়। সন্দেহভাজন সেই ব্যক্তি হলেন শুভম লোনকর। সলমন খানের বান্দ্রার বাসভবনের সামনে গুলি চালানোর ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে শুভম লোনকারের নাম উঠে আসে। তাঁকে জেরার জন্য তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। সেই গুলি চালানোর ঘটনায় অন্য ধৃতদের জেরা করে শুভমের নাম পায় পুলিশ। সূত্রের দাবি, সেই ঘটনাতেও শুটারদের আশ্রয় দিয়েছিলেন শুভম। কিন্তু এত কিছুর পরেও তাঁর বিরুদ্ধে পোক্ত কোনও প্রমাণ পায়নি পুলিশ। ফলে শুভমকে ছেড়ে দিতে হয়। এ বার বাবা সিদ্দিকির খুনের নেপথ্যে পুলিশের সন্দেহের তালিকায় সেই শুভম।