প্রায় চব্বিশ ঘণ্টাই কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনীর অন্দরে। প্রায় বছর দেড়েক ধরে লাগাতার প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন সলমন। যদিও এর মধ্যেই চালিয়ে যাচ্ছেন সিনেমার শুটিং। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও যাচ্ছেন আজকাল। কখনও আবার নিজের খামারবাড়ি চলে যাচ্ছেন অবসর কাটাতে। যদিও এ সবের মাঝে সলমনের পাশে যিনি ছায়াসঙ্গী হয়ে আছেন, তিনি শেরা। অভিনেতার দীর্ঘ দিনের নিরাপত্তারক্ষী। মালিকের সব গতিবিধি যেন তাঁর নখদর্পণে।
আরও পড়ুন:
সলমনকে সারা ক্ষণ আগলে রাখছেন। এ বার মুম্বই বিমানবন্দরে মেজাজ হারালেন তিনিই। সলমনের জীবনের বহু ওঠাপড়ার সাক্ষী শেরা। তাঁর সঙ্গে দেশ-বিদেশে শুট থেকে আদালত পর্যন্ত ঢাল হয়ে সামনে থেকেছেন তিনি। এমনকি সলমনের গ্রেফতারের সময়েও পুলিশের তোয়াক্কা না করে তাঁর সঙ্গে ছিলেন শেরা। শুরু থেকেই সলমনকে ‘মালিক’ বলে ডাকেন তিনি। টানা ২৬ বছর একসঙ্গে থেকে শেরাও এখন খান পরিবারের সদস্য।
রবিবার সকালে সলমন মুম্বই বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আসছেন, চারপাশে আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ দিন কোনও ছবি তুলতে চাননি তিনি। তাঁর দেহরক্ষী শেরা নিশ্চিত করেছিলেন, যেন তার ‘মালিক’ বিরক্ত না হন। কিন্তু তত ক্ষণে সলমনকে দেখে হইচই শুরু করেন ছবিশিকারিরা।
এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। যেখানে ছবিশিকারিরা সলমনকে দেখে তীব্র স্বরে চিৎকার করতে শুরু করেন। সলমনের নিরাপত্তারক্ষী বার বার সকলকে সরে যেতে বললেও কেউ কোনও কথা কানে তুলতে রাজি নন। এক পর্যায়ে এসে শেরাকে খানিক আক্রমণাত্মক ভাবে কিছু আলোকচিত্রীকে দূরে ঠেলে সরিয়ে দিতে দেখা যায়। শেরা চিৎকার করে বলেন, ‘‘কেউ দাঁড়াবেন না এখানে, একদম কারও মুখ দেখতে চাই না।’’ কিন্তু এতেও যেন চিঁড়ে ভেজেনি। ছবিশিকারির দল কথা শুনতে রাজি নয়। তত ক্ষণে মেজাজ হারিয়ে ধমক দেন শেরা। বলেন, ‘‘অনেক হয়েছে, যান বলছি।’’ পাশাপাশি, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকেও তিরস্কার করেন। শেষ পর্যন্ত কোনও মতে সলমনকে গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেন শেরা।