পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া শাস্ত্রীয় সঙ্গীতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, মনে করিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। উদাহরণ দিলেন সম্রাট আকবর, তানসেনের। প্রশ্ন তুললেন, “আকবর না থাকলে কি গায়ককে কেউ চিনতে পারতেন?” পঞ্চম দমদম মার্গসঙ্গীত উৎসবের মঞ্চ থেকে মন্ত্রীর তাই বার্তা, “জনপ্রতিনিধিদের এই বিশেষ শিল্পের প্রতি আরও দায়বদ্ধ হতে হবে।” কারণ, তিনি অনুষ্ঠানের পাঁচ বছরে উপলব্ধি করেছেন, শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ‘সংখ্যালঘু’।
আরও পড়ুন:
“স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাংলা আধুনিক গানের প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের গুরুত্ব এড়াতে পারেননি। তাঁর মতে, এই ধারা ভারতীয় সংস্কৃতির সম্পদ”, বক্তব্য শিক্ষামন্ত্রীর। তিনি তাই গত পাঁচ বছর ধরে এই বিশেষ আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত। অনুষ্ঠানের বিন্যাস ব্রাত্য করলেও শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব সামলান সুকান্ত। অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে তাঁর মত, “নতুন প্রজন্মের শ্রোতাদের নিজের সংস্কৃতির সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার উদ্যোগ এটি। মানুষ যত বেশি সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা করবেন, সমাজ তত বেশি সুস্থ হবে।”
১২ এবং ১৩ এপ্রিল— প্রতি বছরের মতো এ বছরেও দমদম রবীন্দ্র ভবনে (সুরের মাঠ) দু’দিনের সঙ্গীতায়োজন। আহ্বায়ক পুরপ্রতিনিধি সুকান্ত (রাজু) সেনশর্মা। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে গান, নাচ আর বাদ্যযন্ত্রের ত্রিবেণী সঙ্গম। শনিবার উপস্থিত ছিলেন উল্লাস কসলকর (কণ্ঠশিল্পী), পূর্বায়ণ চট্টোপাধ্যায় (সেতার), রাকেশ চৌরাসিয়া (বাঁশি), রূপকুমার রাঠৌর, সোনালি রাঠৌর (কণ্ঠশিল্পী)। রবিবার সুজাতা মহাপাত্র (ওড়িশি নৃত্য), সংযুক্তা দাস (কণ্ঠশিল্পী), মিতা নাগ (সেতার), দেবাশিস ভট্টাচার্য ( চতুরঙ্গী), তন্ময় বোস (তবলা), বিদুষী অশ্বিনী ভিডে দেশপাণ্ডে (কণ্ঠশিল্পী), শিবমণি (ড্রামস— একক)।