মুম্বই বিমানবন্দরে জাস্টিন বিবারের সঙ্গে সলমনের দেহরক্ষী শেরা।
ভারত সফর সেরে সদ্য দেশে ফিরেছেন পপ তারকা জাস্টিন বিবার। তাঁকে নিয়ে উত্তেজনার পারদ যেমন মে মাসের প্রবল গরমকে হার মানিয়ে ছিল, তেমন বিতর্কিত লিপ সিঙ্ক নিয়েও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি। কিন্তু, বিতর্ক যাই থাকুন না কেন পপ তারকার তোষামোদিতে খামতি রাখেনি ভারত। নিজস্ব ক্রু নিয়ে এ দেশে এসেছিলেন। বায়না করেছিলেন, রোলস রয়েস গাড়ি থেকে বিশেষ বাস, রিল্যাক্সেশনের জন্য কেরলের হার্বাল মাসাজও।
এ হেন বছর তেইশের জনপ্রিয় তারকার নিরাপত্তার জন্যও যে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এ আর নতুন কী? বুধবার মধ্য রাতে মুম্বইয়ের মাটি ছুঁয়েছিল জাস্টিনের বিশেষ বিমান। রাত দেড়টার সময় তাঁকে বিমান বন্দরের কর্পোরেট গেট দিয়ে বের করে আনা হয়। তখনও বিমানবন্দরে হাজারে হাজারে লোক অপেক্ষা করছিলেন বিবারকে শুধু এক বার দেখবেন বলে। সুতরাং বিবারের নিরাপত্তার বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সলমন খানের দীর্ঘ দিনের বডিগার্ড শেরাকে।
আরও পড়ুন: সলমনের দেহরক্ষী শেরা কত বেতন পান জানেন?
সলমনের সঙ্গে তাঁর বিশ্বস্ত সহচর শেরা।
একটা গোটা দিন বিবারের ছায়াসঙ্গী হয়ে থেকেছেন শেরা। তাঁর মুখেই শোনা গেল তাঁর অভিজ্ঞতা— ‘‘ওঁকে গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমরা একসঙ্গে হেঁটেও ছিলাম। কফি খেয়েছিলাম। উনি বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাতে খুব ভালবাসেন। শিবাজি পার্কে বাচ্চাদের সঙ্গে ফুটবলও খেলেছেন।’’
তাঁর মুখ থেকে যেন একটু হলেও কাছ থেকে চেনা গেল বিবারকে। শেরার কথায়, ‘‘বিবার একেবারে বাচ্চা ছেলের মতো। যে নিজের একটা ব্যক্তিগত জায়গা চায়। একা থাকতে চায়। নিজের জীবনটা উপভোগ করতে চায়।’’
শেরা জানান, মাস কয়েক আগেই একটি সংস্থা তাঁকে ফোন করে জাস্টিন বিবারের দেহরক্ষী হওয়ার অফারটি তাঁকে দেওয়া হয়েছিল। তবে সলমনের দেহরক্ষী না হলে তাঁর কাছে যে এই সুযোগ কখনওই আসত না, তাও স্বীকার করে নেন শেরা। তাঁর কথায়, ‘‘আমার এই কৃতিত্ব পুরোটাই তাঁর, যাঁকে আমি ‘মালিক’ বলে ডাকি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy