সলমন খান এবং লরেন্স বিষ্ণোই। ছবি: সংগৃহীত।
সলমন খানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় চার্জশিট পেশ করল মুম্বই পুলিশ। আর সেখানেই উঠে এল চঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সলমনকে হত্যার ছক কষেছিল যে অভিযুক্তরা সকলেই কুখ্যাত বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য। সলমনকে খুন করতে তাদের সঙ্গে ২৫ লক্ষ টাকার চুক্তি করা হয়। সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল ২০২৩ সালের অগস্ট থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত।
পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, পাকিস্তান থেকে এই দলের সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র আনিয়েছে। আরও বেশ কিছু অস্ত্র আনানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। এর মধ্যে একে-৪৭, একে-৯২, এম-১৬ রাইফেল তো রয়েছেই, তার বাইরে ছিল তুরস্কের কুখ্যাত জিগানা পিস্তল। এই জিগানা পিস্তল দিয়েই ২০২২ সালের ২৯ মে পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুজওয়ালাকে হত্যা করে বিষ্ণোই গ্যাং। সলমন মামলার চার্জশিটে পুলিশ দাবি করেছে, সলমনকে হত্যার ছকে একদল নাবালককে নিযুক্ত করে বিষ্ণোই গ্যাং। যদিও পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায় তারা।
গত ১৪ এপ্রিল সলমন খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে গুলি চালায় দুই ব্যক্তি। এছাড়াও বাইকে ছিলেন আরও দুই। একে একে ধরা পড়েন চার জনই। ইতিমধ্যেই ঘটনা দায় স্বীকার করে নিয়েছে বিষ্ণোই গ্যাং। ১৪ এপ্রিলের ওই ঘটনার দিন পশ্চিম বান্দ্রার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা ও তাঁর মা-বাবা। বন্দুকবাজরা পাঁচ থেকে ছয় রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। সলমন জানান, গুলির শব্দেই তিনি জেগে ওঠেন। কী হচ্ছে দেখার জন্য যখন বারান্দায় যান, তখন কাউকে আর দেখতে পাননি। ক্রমাগত প্রাণনাশের হুমকি, বাড়িতে হামলা, এ সব দেখে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে নিজেই জানিয়েছেন অভিনেতা। এ বার মুম্বই পুলিশের তরফে একটি নতুন চার্জশিট পেশ করা হয়। সেখানে পাঁচ অভিযুক্তের নামে যাঁরা সলমন খানকে হত্যার ছক কষেছিলেন। সেখান থেকেই উঠে এল একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy