Advertisement
০৪ জুলাই ২০২৪
Electricity Bill

৫২ লক্ষ টাকা বিদ্যুৎ বিল পেয়ে দিশাহারা বিহারের এক পরিবার! কী বলল বিদ্যুৎ দফতর?

হরিশঙ্করের বকেয়া বিদ্যুতের বিল ৫২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৩২৭ টাকা। আকাশছোঁয়া বিদ্যুৎ বিল দেখে বাড়িতে ফিরেই বিদ্যুৎ দফতরে ছোটেন হরিশঙ্কর। সেখানে একটি অভিযোগও দায়ের করেন।

বিদ্যুতের বিল হাতে হরিশঙ্কর (ডান দিকে)।

বিদ্যুতের বিল হাতে হরিশঙ্কর (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪ ১৫:৪১
Share: Save:

হঠাৎই বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল বিহারের এক পরিবারের। তা হলে কি বিদ্যুতের রিচার্জ কি শেষ হয়ে গিয়েছে? এই প্রশ্ন মনে আসতেই তড়িঘড়ি ৫০০ টাকার রিচার্জ করিয়েছিলেন বিহারের মুজফ্‌ফরপুরের বাসিন্দা হরিশঙ্কর মণিয়ারি। পেশায় তিনি এক জন মেডিক্যাল রিপ্রেজ়েন্টেটিভ।

হরিশঙ্কর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “গত ২৭ জুন বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে যায়। আমি কাজে বেরিয়েছিলাম। ছেলের কাছ থেকে খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ৫০০ টাকার রিচার্জ করাই। কিন্তু তার পরেও বিদ্যুৎ আসেনি। তখন বিদ্যুতের বিল ডাউনলোড করি। বিলে বকেয়া টাকার পরিমাণ দেখে পায়ের তলা থেকে যেন মাটি সরে গিয়েছিল। ৫২ লক্ষ টাকা বিদ্যুতের বিল এসেছে!”

হরিশঙ্করের বকেয়া বিদ্যুতের বিল ৫২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৩২৭ টাকা। আকাশছোঁয়া বিদ্যুৎ বিল দেখে বাড়িতে ফিরেই বিদ্যুৎ দফতরে ছোটেন হরিশঙ্কর। সেখানে একটি অভিযোগও দায়ের করেন। তাঁর কথায়, “বিদ্যুৎ দফতরের জুনিয়র ইঞ্জিয়ানিয়ারের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানাই। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। বাড়িতে এক জন অসুস্থ মানুষ আছেন। বেশি আলো, পাখা বা টিভিও চালানো হয় না। কী করে এত বিল এল ভেবে পাচ্ছি না।”

মুজফ্‌ফরপুর বিদ্যুৎ দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক শ্রবণকুমার ঠাকুর জানিয়েছেন, শহরে স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ চলছে। পুরনো মিটারের রিডিং নতুন মিটারে স্থানান্তরের সময় কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে। তাঁর কথায়, “আমার মনে হয় বিলে গন্ডগোল রয়েছে। তবে এই ভুল শোধরানোর ব্যবস্থা করা হবে। এ রকম আরও অভিযোগ জমা পড়ছে। সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

electricity bill Bihar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE