সলমন খান এবং রেণুকা শহাণের এই দেওর-বৌদি সম্পর্ক খুব পছন্দ করেছিলেন দর্শক। কিন্তু অন স্ক্রিন সেই সম্পর্ক বাস্তবে ততটা মধুর নয়।
০৩১৭
কখনও কৃষ্ণসার হত্যা এবং চিঙ্কারা শিকার মামলা নিয়ে, কখনও সলমনের বিতর্কিত ‘রেপ’ মন্তব্য নিয়ে মুখ খুলেছেন রেণুকা।
০৪১৭
ক্রমে সলমনের সেই প্রিয় পূজা বৌদির সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে যায়। যদিও কখনও সরাসরি সলমন বা রেণুকা, কেউই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে সলমনকে একের পর এক আক্রমণেই তা পরিষ্কার।
০৫১৭
১৯৬৬ সালের ৭ অক্টোবর মহারাষ্ট্রে জন্ম রেণুকার। বাবা লেফ্টেন্যান্ট বিজয়কুমার শহাণে ছিলেন ভারতীয় নৌবাহিনীর অফিসার। মা শান্তা গোখলে থিয়েটার ব্যক্তিত্ব এবং চলচ্চিত্র সমালোচক। মূলত মরাঠি থিয়েটারেই কাজ করতেন তিনি।
০৬১৭
খুব ছোট বয়সে মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল। তার পর থেকে রেণুকা এবং ভাই মায়ের কাছেই থাকতেন।
০৭১৭
দূরদর্শনের জনপ্রিয় শো ‘সুরভি’-তে খুব জনপ্রিয়তা পান তিনি। তাঁর ফিল্ম কেরিয়ার শুরু মরাঠি ছবি ‘হাচ শুনবাইচা ভাউ’-এর হাত ধরে।
০৮১৭
তবে ভারতীয় দর্শক তাঁকে চিনেছেন মূলত ১৯৯৪ সালের ফিল্ম ‘হম আপকে হ্যায় কৌন’-এই।
০৯১৭
‘হম আপকে হ্যায় কৌন’ ছবিতে রেণুকা সলমনের পূজা বৌদির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।
১০১৭
তাঁদের রয়াসন এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে, আরও ফিল্মে একসঙ্গে তাঁদের দেখতে চেয়েছিলেন দর্শক। কিন্তু সেটা আর হয়ে উঠল না।
১১১৭
দু'জনের সম্পর্ক ক্রমে তিক্ত হয়ে ওঠে। তাই ১৯৯৪ সালের ওই হিট ফিল্মের পর ২০০৪ সালে ‘দিল নে জিসে অপনা কহা’-তেই তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছে।
১২১৭
সলমনের বিরুদ্ধে প্রথম মুখ খোলেন তিনি ১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসার হত্যা এবং চিঙ্কারা শিকার মামলায় সলমন বেকসুর খালাস পাওয়ার পর। দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট লিখেছিলেন রেণুকা।
১৩১৭
তার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সলমন অনুরাগীরা তাঁকে চূড়ান্ত ভর্ৎসনা করেছিলেন। সে কারণেই ফের মুখ খুলতে হয়েছিল রেণুকাকে। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বললেন, ‘‘আমি সলমন বিরোধী নই। এমনকী, আমার পোস্টও সলমন-বিরোধী ছিল না।’’
১৪১৭
কিন্তু বিষয়টা সেখানেই থেমে থাকেনি। তার পর ফের তাঁর অন্য একটা পোস্ট ঘিরে সলমন-অনুরাগীদের বিদ্বেষের শিকার হন তিনি।
১৫১৭
ফিল্ম ‘সুলতান’ করতে গিয়ে তাঁর কী অবস্থা হয়েছিল, সেটা বোঝানোর জন্য এক বার এক সাক্ষাৎকারে সলমন নিজেকে ‘ধর্ষিত মহিলা’-র সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।
১৬১৭
এই মন্তব্যের পর খুব বিতর্ক হয়েছিল। রেণুকাও এই সুযোগ হাতছাড়া করেননি। ফের এক বার সলমনের উদ্দেশে কড়া পোস্ট করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
১৭১৭
সলমনের সম্পর্কে বলা হয় যে, তিনি অপছন্দের মানুষদের এড়িয়ে চলেন। তাঁদের জড় পদার্থ মনে করেন। রেণুকার ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই করেছেন। কিন্তু কেন দেওর-বৌদির সম্পর্ক তিক্ততায় পরিণত হল, তা স্পষ্ট নয় আজও।