ঋদ্ধিমা ঘোষ এবং অর্জুন চক্রবর্তী
শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস থেকে রাখিবন্ধন উৎসবের ছোট একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হল। সেখানে ঋদ্ধিমা ঘোষ এবং অর্জুন চক্রবর্তী বোন-ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কিন্তু বাস্তবে তাঁরা দেওর এবং বৌদি। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘রামের সুমতি’ থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নষ্টনীড়’— একাধিক লেখকের হাতে এই সম্পর্কের নানা দিক উঠে এসেছে। অর্জুন এবং ঋদ্ধিমার সম্পর্ক কেমন? রাখির দিনে আনন্দবাজার অনলাইনকে সেই গল্পই করলেন অভিনেতা গৌরব চক্রবর্তীর স্ত্রী।
গৌরব এবং ঋদ্ধিমার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হওয়ার আগে অর্জুনের সঙ্গে ততটা আলাপ ছিল না ঋদ্ধিমার। তার পর থেকেই তাঁরা খুব ভাল বন্ধু। তাঁদের বয়সের ব্যবধান খুব বেশি নয় বলে একে অপরের সঙ্গে খুব সহজ ভাবেই মিশেছেন দুই শিল্পী। গৌরব-ঋদ্ধিমার বিয়ের পরেও তাঁদের মধ্যে প্রথাগত দেওর-বৌদির সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। তার কারণ দু’জনেই খুব ভাল বন্ধু। কিন্তু যা-ই হোক, তাঁরা একই পরিবারের সদস্য। আর সেই সম্পর্কটি মাঝে মাঝে দিদি-ভাইয়ের সমীকরণ তৈরি করে দেয় তাঁদেরই অজান্তে।
ঋদ্ধিমা বললেন, ‘‘সম্প্রতি আমি আর অর্জুন একটি কাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলাম। আউটডোর শ্যুট চলছিল। সেখানে গিয়ে বুঝলাম, সত্যিই আমরা একটাই পরিবার। নিজের অজান্তেই আমি অর্জুনের খাবার দাবারের খেয়াল রাখছিলাম। অর্জুনও আমার দেখাশোনা করছিল। সেটা খুবই সুন্দর।’’
অর্জুনের সঙ্গে ঋদ্ধিমার অনেক মিল। গোটা পরিবারে তাঁরাই সব থেকে বেশি দুষ্টু। ঋদ্ধিমার কথায়, ‘‘গৌরবের সঙ্গে আমার ঝগড়া হলে অর্জুন আর আমি গৌরবের পিছনে লাগি। তাতে ও আরও রেগে যায়। কিন্তু আমরা কেউ থামি না। তবে আমি, অর্জুন আর গৌরব কিছু মানুষকে নিয়ে মজা করি, আর সেই মশকরাগুলির অর্থ কেউ বোঝে না। ধরা যাক, যাঁকে নিয়ে আমরা মজা করছি তিনি আমাদের সামনে উপস্থিত। সেই সময়ে আমাদের তিন জনের মধ্যে চোখাচোখি হতে থাকে। সেই ইঙ্গিতগুলি কেউ বোঝে না। আমরাই জানি কেবল।’’
মাঝে মাঝে ঋদ্ধিমাকে রাগিয়ে দেওয়ার জন্য অর্জুন তাঁকে ‘বৌদি’ বলে ডাকেন। ঋদ্ধিমা বললেন, ‘‘আমি প্রচণ্ড রেগে যাই আমাকে ‘বৌদি’ বললে। জানে আমি রেগে যাব, তাই বারণ করলেও ইচ্ছে করে ওই নামে ডাকে। মূলত আমাকে আমার ভাল নামেই ডাকে অর্জুন।’’
দেওরের সঙ্গে পর্দায় প্রেম করেছেন ঋদ্ধিমা। সুদেষ্ণা রায় এবং অভিজিৎ গুহ পরিচালিত ছবি ‘আকাশছোঁয়া’-তে একে অপরের বিপরীতে কাজ করেছেন তাঁরা। কোনও অস্বস্তি হয়নি অভিনেত্রীর? ঋদ্ধিমা জানালেন, তাঁদের পেশা অভিনয়, তাই তিনি ওই ভাবে কোনও দিন ভাবেননি যে দেওরের সঙ্গে প্রেম করতে হচ্ছে। তাই অস্বস্তিও হয়নি কখনও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy