বসন্তের আগমনে পলাশে পলাশে ভরে উঠেছে ঝাড়গ্রাম। এই বসন্তে ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানায় যে নতুন সদস্যকে আনা হল, তার নামও রাখা হল ‘পলাশ’। সাত বছরের চিতাবাঘটির নামকরণ করেছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা।
ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরবঙ্গের জলদাপাড়ার খয়েরবনি থেকে একটি সাত বছরের চিতাবাঘ আনা হয়েছে। বসন্তে ঝাড়গ্রামের সৌন্দর্যের সঙ্গে মিলিয়ে চিতাবাঘটির নাম ‘পলাশ’ রেখেছেন বনমন্ত্রী। কিছু দিন আগে বাঁকুড়া থেকে উদ্ধার হওয়া একটি পুরুষ ভালুককে নিয়ে আসা হয়েছে জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে। এ বার চিতাবাঘের আগমনে চিড়িয়াখানার আকর্ষণ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
দিন পাঁচেকের মধ্যে চিড়িয়াখানার ‘পলাশ’কে দেখতে যেতে পারবেন সাধারণ মানুষ। নতুন সদস্যের আপাতত থাকার বন্দোবস্ত হয়েছে একটি ‘নিভৃতবাসে’। পরে আলাদা ‘ফেন্সিং’-এর মধ্যে রাখা হবে তাকে। তারও পরে মূল এনক্লোজ়ারে ছাড়া হবে চিতাবাঘটিকে। ঝাড়গ্রামের বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) উমর ইমাম বলেন, ‘‘আগামী কয়েকদিনের জন্য চিতাবাঘটিকে আলাদা করে রাখা হবে। তার পর সাধারণ মানুষের দেখার জন্য তাকে মূল এনক্লোজ়ারে ছাড়া হবে। আমাদের বনমন্ত্রী চিতাবাঘটির নাম রেখেছেন পলাশ।’’
আরও পড়ুন:
প্রায় দু’শো একর জমির উপর জঙ্গলমহল জুলজ়িক্যাল পার্কে রয়েছে হায়না, নীলগাই থেকে চিতাবাঘ। এখানেই তাদের প্রজননের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় একশো প্রজাতির পশুপাখি এবং সাপ রয়েছে চিড়িয়াখানাটিতে। বন দফতর সূত্রের খবর, আগামী বছরেই লালমাটির চিড়িয়াখানায় আনা হবে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। বস্তুত, জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কের জনপ্রিয়তা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। দর্শকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বেশ কিছু বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এ বার প্রবীণ এবং প্রতিবন্ধী দর্শকদের জন্য জঙ্গলমহলের চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছে ব্যাটারিচালিত যান। আগামী সোমবার থেকে ১৪ আসন বিশিষ্ট ওই গাড়িটি চেপে জঙ্গলমহলের চিড়িয়াখানা বেড়াতে পারবেন প্রবীণ এবং প্রতিবন্ধী দর্শকেরা। ভাড়া রাখা হচ্ছে সকলের সামর্থের মধ্যে। এক বনকর্তার কথায়, ‘‘আলিপুর চিড়িয়াখানা প্রাণীবৈচিত্রের দিক থেকে অনেক এগিয়ে। কিন্তু আয়তনে ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানা অনেক বড়। অরণ্যের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এই চিড়িয়াখানাকে আর পাঁচটা চিড়িয়াখানা থেকে আলাদা করেছে।’’