মফস্সলে বড় হওয়া মেয়েটির। কোন্নগরের পাড়ায় সে ছিল অ্যাকাডেমিক্যালি গুড গার্ল। ছোট থেকেই গানের তারে মন বাঁধা।
সেই ১০ বছর বয়সে মায়ের হাত ধরে ট্রেনে করে মঞ্জু গুপ্তর কাছে প্রথম গান শিখতে আসা। তার পর একে একে কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায়, সুশীল চট্টোপাধ্যায়ের কাছে দ্বিজেন্দ্রলাল, অতুলপ্রসাদ এবং রজনীকান্তের গান শেখা। কখনও মায়া সেন, শৈলেন দাশের কাছে রবীন্দ্রগানের তালিম। তিনি ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রথম পাবলিক অনুষ্ঠান ১৯৯৮-এ। পঞ্চকবির গানে তিনি পায়োনিয়ার। বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান তাঁকে ‘পঞ্চকবি’র নাম দিয়েছেন। গান শুনিয়ে পেয়েছেন বহু সম্মান। দেশে-বিদেশে শ্রোতাদের গান শোনাতে শোনাতে পেরিয়ে এসেছেন ২০ বছর। সেই উপলক্ষে আগামী ২৯মে আইসিসিআর-এ শ্রোতাদের গান শোনাবেন শিল্পী।
আরও পড়ুন, জীবনের স্পেশ্যাল দিনে কী করলেন সুদীপ্তা?
ঋদ্ধি শেয়ার করলেন, ‘‘ওই দিন অনুষ্ঠানে প্রথমে দ্বিজেন্দ্রলাল, রবীন্দ্রনাথ, রজনীকান্ত, অতুলপ্রসাদ এবং নজরুল— পঞ্চকবির গান শোনাব। গানের গল্প, কাব্য-গীতির পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে কথা হবে। আর অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধ্যায়ে মঞ্চ, ফিল্ম এবং রেকর্ডে কাজ করেছেন এমন কিছু শিল্পী যেমন, বিনোদিনী, ইন্দুবালা, আঙুরবালা, কাননদেবী, কেতকী দত্ত, ছায়া দেবী, কেয়া চক্রবর্তীর গান শোনাব।’’
মায়া সেন, শৈলেন দাশের কাছে নিয়েছেন রবীন্দ্রগানের তালিম।
প্রায় ২০ টি একক অ্যালবাম করলেও ছবির গানে এখনও সে ভাবে আপনি সুযোগ পেলেন না কেন? এ প্রশ্নের উত্তরে ঋদ্ধি বললেন, ‘‘আমি দু’তিনটে ছবির কাজ করেছি। কিন্তু সে ভাবে শ্রোতারা তার কথা জানেন না। আসলে ছবির গানে খুব লবি চলে। সে কারণেই এক্সপেরিমেন্টাল কাজ হয় না। আর লবিতে না থাকলে তো কাজও পাওয়া যায় না।’’
এক সময় কলেজে অধ্যাপনা করতেন ঋদ্ধি। বিয়ের পর চাকরি ছেড়েছেন নিজের ইচ্ছেয়। তখন থেকেই সংসার এবং গান নিয়ে ডুবে থেকেছেন শিল্পী। তাঁর গানের যাত্রায় শুভেচ্ছা জানাতে সে দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, নবনীতা দেবসেন, গৌতম ঘোষ, শুভাপ্রসন্নর মতো শিল্পীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy