ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়।
পঞ্চকবির গান তাঁর ব্র্যান্ড। শহর কলকাতা, মফস্সল অথবা বিদেশ— পঞ্চকবির গানের অনুষ্ঠানের সঙ্গেইদানীং একাত্ম হয়ে গিয়েছে যে শিল্পীর নাম তিনি ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়।
মফস্সলে বড় হয়েছেন ঋদ্ধি। ছোট থেকেই গানের তারে মন বাঁধা। ১০ বছর বয়সে মায়ের হাত ধরে মঞ্জু গুপ্তর কাছে প্রথম গান শিখতে গিয়েছিলেন। তার পর একে একে কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায়, সুশীল চট্টোপাধ্যায়ের কাছে দ্বিজেন্দ্রলাল, অতুলপ্রসাদ এবং রজনীকান্তের গান শেখা। কখনও মায়া সেন, শৈলেন দাশের কাছে রবীন্দ্রগানের তালিম।
গানের পাশাপাশি কখনও যৌনকর্মীর সন্তানদের নিয়ে কাজ করেন ঋদ্ধি। কখনও বা জেলবন্দিদের গান শেখান। গত আট-ন’মাস ধরে আলিপুর জেলে মহিলা বন্দিদের গান শেখাতে যাচ্ছেন ঋদ্ধি। এ তাঁর কাছে এক অনন্য অভিজ্ঞতা। তাঁদের নিয়েই মঙ্গলবার সকালে আলিপুর জেলে ‘সিং ফর দ্য কান্ট্রি’শীর্ষক এক ঘণ্টার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। সেখানেভয় থেকে, যন্ত্রণা থেকে মুক্তির গান শোনাবেন জেলবন্দিরা।
আরও পড়ুন, জন্মদিনে কী করছেন দিতিপ্রিয়া?
ঋদ্ধির কথায়: ‘‘এখন আমার যা বয়স বা অভিজ্ঞতা, স্টেজে উঠে ২৫-৩০টা চেনা গানের মধ্যে ঘোরাফেরা করে একটা মোটা খাম নিয়ে নেমে গেলাম— এই কাজটা করা ছাড়াও সমাজের প্রতি তো আমার কিছু দায়বদ্ধতা আছে। আমি নিজের মতো করে এটুকু করতে পারি। এই কাজে আইজি (কারা) অরুণকুমার গুপ্ত আমাকে খুব সাহায্য করেছেন। ওঁদের মধ্যে কেউ পরিস্থিতির শিকার, কারও বা সত্যিই অপরাধমূলকমানসিকতা রয়েছে। এগুলো নিয়ে ওঁদের সঙ্গে আলোচনা করি না। ওঁরা আমাকে ভালবাসেন, বিশ্বাস করেন। সে কারণেই ওঁদের এত কাছাকাছি যেতে পেরেছি।’’
যৌনকর্মীর সন্তানদের নিয়েও কাজ করেন ঋদ্ধি।
এ ছাড়াও মঙ্গলবার বিকেলে পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্র(ইজেডসিসি)-তে ‘স্বাধীনতার গান’ নামক একটি অনুষ্ঠান করছেন ঋদ্ধি। সেখানে পঞ্চকবির গান তো থাকছেই। পাশাপাশি, নিধুবাবুর দেশাত্মবোধক গান থেকে মোহিনী চৌধুরী পর্যন্ত শোনানোর পরিকল্পনা রয়েছে শিল্পীর। গানের গল্পে স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করবেন বলে দাবি করলেন ঋদ্ধি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy