‘ওঁর নাম তো শুভঙ্কর সান্যাল, কিন্তু সবাই ডাকে ভয়ঙ্কর সান্যাল বলে।’ ‘শত্রু’ ছবিতে এ ভাবেই পরিচিত হয়েছিলেন রঞ্জিত মল্লিক। বরাবরই পর্দায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সত্যের পালন আর দুষ্টের দমনেই দর্শকমনে তাঁর স্থায়ী জায়গা। চল্লিশ বছর পরে আবার পর্দায় ফিরছেন ‘শুভঙ্কর সান্যাল’। তবে পুলিশ নয়, আইনজীবীর ভূমিকায়। ছবির নাম ‘অপরাজেয়’। শ্যাম দাগার কাহিনি ও প্রযোজনায় মোজোটেল এন্টারটইনমেন্ট ও দিব্যা ফিল্মসের ছবিটি মুক্তি পাবে পুজোর আগেই। ঠিক চল্লিশ বছর আগে যে ভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেখা গিয়েছিল, নতুন ছবিতেও সে ভাবেই কোমর থেকে বেল্ট খুলে অপরাধীদের শাস্তি দিতে দেখা যাবে রঞ্জিতকে।
এত দিন পর ‘শুভঙ্কর সান্যাল’ পুরনো স্মৃতি উস্কে দিল? জানতে আনন্দববাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল বর্ষীয়ান অভিনেতার সঙ্গে। রঞ্জিতের কথায়, ‘‘পরিচালকের ইচ্ছে ছিল ‘শত্রু’ ছবির পুলিশ অফিসার শুভঙ্কর সান্যাল আবার ফিরে আসুক। ওই চরিত্রটার উপরে বেশ দুর্বলতা আছে ওঁর। ছবির গল্প বেশ ভাল। তাই রাজি হলাম। এখানে আমি এক জন সৎ, নিষ্ঠাবান আইনজীবী। স্রোতের বিপরীতে হাঁটা শুভঙ্কর সান্যাল অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে অপদস্থ হয়েছে বারবার। ভারাক্রান্ত মনে অবসর নিয়েছে। কিন্তু চারপাশের অন্যায় দেখে চুপ থাকতে পারেনি। মাকে মেয়েরা ঠকাচ্ছে, এই অন্যায় দেখে আবার গর্জে ওঠে শুভঙ্কর। বরাবরই আমি এ ভাবেই রুখে দাঁড়ানো চরিত্রের মধ্যে দিয়ে প্রতিবাদী হয়েছি।’’
তরুণ মজুমদারের ছবি ‘চাঁদের বাড়ি’র শ্যুটিংয়েই রঞ্জিতের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছিল নেহাল দত্তের। ‘অপরাজেয়’র পরিচালকের কথায়, ‘‘এই গল্পটা শুনে আমি ঠিক করে ফেলি চরিত্রটা রঞ্জিত কাকুই করবেন। প্রথমে রাজি হননি। পরে গল্প শুনে আর চরিত্রের নাম শুভঙ্কর সান্যাল জেনে আর না করেননি। রঞ্জিত কাকু, সাবিত্রী আন্টি অসাধারণ অভিনয় করেছেন এই ছবিতে। লাবণি সরকার , সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়, ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়, মৃণাল মুখোপাধ্যায়ও একেবারে অন্য রকম ভাবে ধরা দিয়েছেন ছবিতে। যাঁরা ‘শত্রু’ দেখেছেন, আমার বিশ্বাস তাঁরা আবার ফিরে পাবেন শুভঙ্কর সান্যালকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy