ঋষি যখন ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছেন, চিকিৎসার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, রণবীর কাজ করে চলেছিলেন ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ এবং ‘শমশেরা’ ছবিতে। —ফাইল চিত্র
ক্যানসারে প্রয়াত হয়েছিলেন অভিনেতা ঋষি কপূর। ২০২০ সালের সেই আকস্মিক ঘটনা জীবনকে নতুন চোখে দেখতে শিখিয়েছিল রণবীর কপূরকে। আগের রণবীর আর পিতৃহারা রণবীরের মধ্যে তখন আকাশপাতাল তফাত । সে কথা মনে পড়লে বিমর্ষ হয়ে পড়েন ঋষি-পুত্র। তবে শিক্ষণীয় দিকগুলি তিনি মনে রেখেছেন বলেই জানান।
রণবীর এবং শ্রদ্ধা কপূর অভিনীত ছবি ‘তু ঝুটি ম্যায় মক্কর’ মুক্তির দোরগোড়ায়। প্রচার অনুষ্ঠানে গিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রণবীর বললেন, “বাবা-মায়ের মধ্যে এক জনকে হারানো মানবজীবনে সবচেয়ে বড় ঘটনা। সব কিছু এলোমেলো হয়ে যায় যখন তুমি চল্লিশ ছুঁতে চলেছ, আর তখন হঠাৎ সেই ঘটনা ঘটল। একেবারেই প্রস্তুতি থাকে না। কিন্তু এই ধরনের মৃত্যু পরিবারের সকলকে কাছাকাছি এনে দেয়। জীবনকে অন্য ভাবে বুঝতে শেখায়।”
‘ওয়েক আপ সিড’ অভিনেতার মতে, জীবনে এমন উত্থান-পতন থাকে, ব্যক্তি হিসাবে এতে বিকাশ হয়। তাঁর জীবনেও একই সঙ্গে অনেক ভাল এবং খারাপ ঘটনা ঘটেছে। রণবীরের কথায়, “আমি কন্যাসন্তানের পিতা হয়েছি। গত বছর আলিয়াকে বিয়ে করেছি। এই তো জীবন, তাই না? ”
তবে ঋষির চলে যাওয়া শিল্পী হিসাবেও গভীর প্রভাব ফেলেছে রণবীরের জীবনে। তিনি বলেন, “এ ধরনের মৃত্যু মানুষকে শিল্পী হিসাবে প্রভাবিত করতে পারে। কিন্তু আমার ধারণা, এটা কেউ সঙ্গে সঙ্গে বলতে পারে না ... হয় তো কয়েক বছর পরে বোঝা যায়। ... যখন আমার বাবা ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছেন, চিকিৎসার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, আমি কাজ করে যাচ্ছিলাম ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ এবং ‘শমশেরা’ ছবিতে। এখন ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ দেখলে অসাধারণ সব স্মৃতি মনে পড়ে। কিন্তু কিছু কিছু দৃশ্যে আমি মনে করতে পারি... ওহ্, এই সময় বাবার কেমোথেরাপি চলছিল বা ভেন্টিলেটরে ছিলেন বাবা। কিন্তু কিছু করার ছিল না। কয়েক বছর আমি এটা বুঝতেই পারিনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy