ফের কাজ করে গেল তথাগতর সঙ্গে রাইমার সমীকরণ।
বহু দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে আনন্দবাজার অনলাইনকে প্রিয়াঙ্কা সরকার জানিয়েছিলেন, তিনি আর বাঘাযতীন তরুণ সংঘের ‘পুজোর মুখ’ থাকছেন না। বাঘাযতীন তরুণ সংঘ নামের সঙ্গে প্রিয়ঙ্কার সম্পর্ক তত দিনের ছিল যত দিন চিত্রগ্রাহক তথাগত ঘোষের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার গাঢ় বন্ধুত্ব।
বন্ধুত্ব ঘুচল। প্রিয়াঙ্কা সরে এলেন। তার জায়গায় এলেন রাইমা সেন।
এখানেও এক ভাবে তথাগতর সঙ্গে রাইমার সমীকরণ কাজ করে গেল।
দক্ষিণ কলকাতার প্রথম সারির এই পুজোর এ বছরের মুখ রাইমা সেন। ৭২ বছরে পা দেওয়া এই পুজোর সমগ্র পরিকল্পনায় চিত্রগ্রাহক তথাগত ঘোষ। এ বারের থিম ‘আমার পাড়ার পুজো’।
দীর্ঘ অভিনয় জীবনে এই প্রথম সুচিত্রা সেনের নাতনি কোনও ‘পুজোর মুখ’ হলেন। লাল পাড় সাদা গরদের শাড়ি, সোনার গয়নায় সেজে ইতিমধ্যেই রাইমা প্রচার ঝলকের কাজ সেরেছেন। সেখানেও তিনি পুজো কমিটির পাশাপাশি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ‘বন্ধু’ তথাগতকে। খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই নয়া চর্চা, তা হলে কি নয়া সমীকরণ জন্ম নিল রাইমা-তথাগতর মধ্যে? ঠিক যেমন ছিল প্রিয়াঙ্কা আর তথাগতর?
ইদানিং তথাগতর ছবিতে বার বার ফিরে এসেছেন রাইমা। বিশেষ ফটো শ্যুট করছেন তথাগতর সঙ্গে। বাঘাযতীন তরুণ সংঘের পুজোয় ওতপ্রোত ভাবে জড়িত চিত্রগ্রাহকের বান্ধবীরাই কি তা হলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পুজোর মুখ হবেন? আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল তথাগতর সঙ্গে। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘‘দুটো বিষয় বুঝতে হবে। এক, গত বছর লকডাউনের সময়েই প্রিয়াঙ্কা পুজোর মুখ হওয়া থেকে সরে দাঁড়ান। কিন্তু কমিটির সভাপতি ছিলেন। ওঁর সঙ্গে ক্লাবের আলাদা সম্পর্ক। দুই, যাঁদের সঙ্গে নিয়মিত ওঠা বসা তাঁদেরকেই তো কোনও বিষয়ে অনুরোধ করা যায়। সেই জায়গা থেকেই রাইমা সেন এসেছেন। যাঁদের চিনি না তাঁদের হঠাৎ করে কী করে ‘পুজোর মুখ’ হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাব।’’
ইতিমধ্যেই প্রচার ঝলকে রাইমা সবাইকে তাঁর পুজোয় আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে অতিমারির যাবতীয় নিয়ম-নীতি মেনে চলার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন।
তথাগত এও জানিয়েছেন, অতিমারির দাপট কিছুটা কমায় বাঘাযতীন তরুণ সংঘের এ বারের পুজোর থিমে অনেক নতুন ভাবনা জায়গা করে নিয়েছে। সে সব ক্রমশ প্রকাশ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy