কী বার্তা দিলেন পরীমণি?
প্রেম করতে রাজি পরীমণি। মারতেও রাজি তিনি, কিন্তু মরতে রাজি নন। ফেসবুকে সে কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশের নায়িকা। এখন তিনি বিতর্কে জর্জরিত। প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ তোলা, তার পর মাদক মামলায় নিজেই অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার হওয়া। গত জুন মাস থেকে বাংলাদেশের অভিনেত্রী পরীমণির জীবন তোলপাড়। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরও ফেসবুকে তাঁর একের পর এক বার্তা বার বার তাঁকে চর্চায় নিয়ে আসে। মঙ্গলবারও একই ঘটনা ঘটল। তাঁর নতুন বার্তায় ফের তিনি খবরের শিরোনামে।
ফেসবুকে নিজের একটি নিজস্বী দিয়ে তিনি লিখলেন, ‘টেন-এর পরে আমি তো আর গুনতে পারি না, ডাইনে বামে কে যে প্রেমিক চিনতে পারি না, প্রেমের মড়া সে তো নাকি জলে ডোবে না, আমি প্রেম করতে রাজি, মারতে রাজি, মরতে রাজি না।’ শেষে লেখা, ‘এর স্বত্ব তাপসের।’ তাপস হলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী। পরীমণির লেখা থেকে ধারণা করা যেতে পারে, এই পংক্তি তাঁর নিজের নয়, কোনও গানের। কিন্তু সে কথা স্পষ্ট করে লেখা নেই। এই কথাগুলি কি কেবল ফেসবুকে দেওয়ার জন্যেই? নাকি নিজের মনের কথাই বলতে চাইলেন এ ভাবে? কোথাও কি তিনি অজস্র কটূক্তি, অপমানজনক মন্তব্য, কটাক্ষ, ইত্যাদির বিরুদ্ধে প্রচ্ছন্ন বার্তা দিলেন এই লেখার মাধ্যমে?
ফেসবুকে একাধিক বার্তা দেন পরীমণি। কখনও জ্বলন্ত সিগারেট হাতে ছোট পোশাক এবং চোখে সাদা চশমা পরে সিংহাসনের মতো চেয়ারে বসে ছবি দেন তিনি। সঙ্গে বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ মেনে লেখেন, ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। কখনও আবার লাল পোশাকে লম্বা দু’টি ঝুঁটি বেঁধে তিনি লেখেন, ‘যে জীবন ভালবাস, সেই জীবনটাই যাপন কর, যে জীবন যাপন কর, সেই জীবনটাই ভালবাস।’ তিনি থেমে থাকেননি, থেমে থাকবেনও না, সে কথাই বার বার প্রমাণ করেন পরীমণি। মঙ্গলবারের এই বার্তারও যে একই উদ্দেশ্য, তিনি যে একই ভাবে তাঁর আক্রমণকারীদের জবাব দিতে ব্যস্ত, তা বোঝা যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy