ছেলে কৃশিবের সঙ্গে পূজা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুণাল ভার্মা।
কৃশিবের জন্মনোর পরেই তড়িঘড়ি আইনি বিয়ে সেরেছিলেন পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়-কুণাল ভার্মা। তাতে কি বাঙালি কন্যের মন ভরে? তখনই ঠিক করেছিলেন, ছেলে একটু বড় হলেই ধুমধাম করে সাতপাক ঘুরবেন। হচ্ছেও তাইই। বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে পূজা তাঁর সমস্ত অনুরাগীদের জানিয়েছেন, আবার বিয়ে করছেন তিনি! বন্ধু-বান্ধব, দুই পরিবারের সমস্ত সদস্যদের নিয়ে। ১৫ নভেম্বর, সোমবার গোয়ায় বসবে বিয়ের আসর।
শুভেচ্ছা জানাতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল পূজার সঙ্গে। অভিনেত্রীর কণ্ঠস্বর শুনে মনে হল, দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে তিনি দারুণ উত্তেজিত। পূজার দাবি, ‘‘কাগুজে বিয়েতে মন ভরে! গায়ে হলুদ, মেহেন্দি, সাতপাক ঘোরা, মালাবদল- কিচ্ছু হবে না?’’
সেই স্বপ্ন পূরণ করতে কেমন আয়োজন হচ্ছে গোয়ায়? অভিনেত্রীর কথায়, সব মেয়ের মতো তিনিও ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখতেন, পালকি চেপে বিয়ের আসরে যাবেন। সেটাই হবে। তিনি সাজবেন লাল বেনারসিতে। মালা, চন্দন, গয়নায়। আর কুণাল? ‘‘এক দম বাঙালি বর। আমার আবদার মেনে ধুতি-পাঞ্জাবি-টোপর সব পরবে। এখন থেকেই ধুতি পরা নিয়ে বেশ চিন্তায় আছে। ধুতি যদি সামলাতে না পারে!’’ বললেন পূজা।
তবে কুণালও মহাখুশি। অভিনেত্রী বিয়ের তারিখ ঘোষণা করতেই তিনি জানিয়েছেন, ‘তুমি এগোও... আমি এক্ষুণি আসছি।’ ইতিমধ্যেই দেবের ‘চ্যালেঞ্জ ২’ ছবির নায়িকা ছেলে নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন গোয়ার উদ্দেশে। ইনস্টাগ্রাম স্টোরি বলছে, এক ফাঁকে হাতের যত্ন নিয়েছেন ম্যানিকিওর করে। রবিবার এই হাতেই ফুটে উঠবে মেহেন্দির রং! বাঙালি মতে বিয়ে হলেও গোয়ায় বাঙালি খানা কোথায় মিলবে? এই নিয়ে হালকা আফশোস পূজারও। জানিয়েছেন, কলকাতার রসগোল্লা আর সন্দেশ দিয়েই আপাতত সেই ফাঁক ভরানোর চেষ্টা করবেন তিনি।
একা কুণাল নন, ছেলে কৃশিবও তার মা-বাবার বিয়েতে সাজবে ধুতি-পাঞ্জাবিতে। ছেলেই কি নিতবর? ফের হাসির ফোয়ারা ছুটল। পূজার দাবি, ‘‘ছোটবেলায় অভিযোগ ছিল, মা-বাবা কেন বিয়েতে আমায় নিমন্ত্রণ করেনি? কৃশিবের অন্তত এই আক্ষেপ থাকবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy