সাতসকালে রাস্তায় প্রসেনজিৎ-দিতিপ্রিয়া!
ঢিলেঢালা সাদা শার্ট, বাদামি প্যান্ট, চোখে চশমা, মাথায় রোদটুপি। রবিবার সক্কাল সক্কাল উত্তর কলকাতার রাস্তায় ওটা কে? বড্ড চেনা লাগছে যেন! পাশে আটপৌরে কুর্তি-লেগিংসে মিষ্টি মেয়েটাও তো সকলের চেনা! ঘরবাড়ি, দোকানপাট ফেলে সবাই ছুট-ছুট-ছুট! একদমই, ভুল হওয়ার উপায় নেই! হাতিবাগানে বাজারের রাস্তা ধরে হাঁটছেন স্বয়ং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়! আর তার পাশে পর্দার ‘রাণী রাসমণি’, দিতিপ্রিয়া রায়।
দু’জনে পথ চলতেই মশগুল। আশপাশে ভিড় জমছে, যেন খেয়ালই নেই! বাবার মতোই প্রসেনজিতের হাত আঁকড়ে কথার ফুলঝুরি। সঙ্গে খানিক বায়নাও। নিচু স্বরে তাঁকে বোঝাচ্ছেন টলিউডের ‘ইন্ডাস্ট্রি’ও। ছুটন্ত গাড়ি থেকে বাঁচাতে ‘মেয়ে’র হাত ধরে টেনে আনছেন রাস্তার ভিতর দিকে। ঠিক যেমনটা বাবা-রা করে!
মেয়ের বায়নাতেই হাঁটাহাঁটি থামল এক সানগ্লাসের দোকানে। গোটা তিনেক দেখে, দিতিপ্রিয়াকে পরিয়ে, রীতিমতো বাছাই করে কেনাকাটাও হল। তার পর ফের হাত ধরাধরি। এগিয়ে গেলেন অন্য কোনওখানে। কিন্তু ব্যাপারটা কী?
সাতসকালে এমন সাধারণ বেশে দুই তারকা কী করছেন পথে পথে ঘুরে? তত ক্ষণে অবশ্য আশপাশে অনেকেই ধরে ফেলেছেন ঘটনাটা। ‘তারা’দের হাতের নাগালে পেয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে ক্যামেরাবন্দি করা, ধাক্কাধাক্কিও।
আসলে প্রসেনজিৎ আর দিতিপ্রিয়া নন, পথ হাঁটছিলেন নির্মল মণ্ডল আর তার কিশোরী মেয়ে বুড়ি। একেবারে ছোট্টবেলায় মা-হারা মেয়েটাকে বুক দিয়ে আগলে বড় করেছেন নির্মল। আদরে, শাসনে বড় হওয়া সেই মেয়ে এখন উল্টে বাবার শাসনকর্ত্রী। পর্দায় সেই বাবা-মেয়ে হয়েই আগামী ১৭ জুন হাজির হচ্ছেন প্রসেনজিৎ এবং দিতিপ্রিয়া। ছবির নাম ‘আয় খুকু আয়’।
ছবির প্রচারেই রবিবার সকাল সকাল বেরিয়ে পড়েছিলেন দু’জনে। তারই সাক্ষী রইল রবিবার সকালের উত্তর কলকাতা। প্রসেনজিতের পেজ থেকে তার লাইভ সম্প্রচারের সৌজন্যে দু’জনের এমন কাণ্ডকারখানা দেখতে পেলেন অসংখ্য অনুরাগীও। শৌভিক কুণ্ডুর পরিচালনায় এ ছবিতে দিতিপ্রিয়ার মায়ের ভূমিকায় থাকছেন রফিয়াত রশিদ মিথিলা। এ ছাড়াও আছেন সোহিনী সেনগুপ্ত, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সত্যম ভট্টাচার্য, শঙ্কর দেবনাথ এবং রাহুল দেব বসু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy