রঞ্জিত-কোয়েলের ‘কহানি’
আশপাশে বাড়ির কেউ নেই তো? তন্ন তন্ন চোখ চালিয়েও ত্রিসীমানায় কারও দেখা নেই। এই ফাঁকে মনের সুখে একটু মিষ্টিমুখ হতেই পারে। থালায় সন্দেশ, রসের মিষ্টি সাজিয়ে তাই গুছিয়ে বসেছিলেন রঞ্জিত মল্লিক। মিষ্টিতে কামড় বসাতেই যেন স্বর্গসুখ! কত দিন পরে!
কিন্তু শেষ পর্যন্ত মধুরেণ সমাপয়েৎ হল কই? আচমকাই যে হাজির মেয়ে কোয়েল! পাশের ঘরে যাচ্ছিলেন তিনি। বাবাকে ওই অবস্থায় দেখে প্রথমে হতবাক। তার পরেই হাতেনাতে ধরেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতাকে। রঞ্জিত তখন মিষ্টি-সুখে বিভোর। প্রথমে মেয়েকে খেয়ালই করেননি। হুঁশ ফিরতেই মাথায় বাজ। মিষ্টির থালা লুকোবেন, না নিজেকে? পরিস্থিতি সামলাতে সামলাতেই কোয়েল তাঁর হাত থেকে কেড়ে নিয়েছেন মিষ্টির থালা। লুকিয়ে মিষ্টি খাওয়ার জন্য কী বকুনি তারপর! বাবা যে ডায়াবেটিসে ভুগছেন। মিষ্টি তাঁর কাছে বিষ! তার পরেই থালা নিয়ে চলে গিয়েছেন। বিমর্ষ রঞ্জিতের মুখে যেন মেঘের ছায়া।
রঞ্জিত-কোয়েলের মতো ছবি ঘরে ঘরে। একটু বড় হওয়ার পরে মেয়েরা এ ভাবেই আগলান বাবাকে। কারণ, মেয়েদের জীবনের সিংহভাগ জুড়ে থাকেন বাবা-ই। আর কোনও কারণে সাময়িক ক্ষুব্ধ হলেও বাবারাও চোখে হারান মেয়েকে। একদম শিশু অবস্থায় মা-হারা বুড়িকে ঠিক সে ভাবেই বুক দিয়ে আগলেছেন নির্মল মণ্ডল। একটু বড় হওয়ার পরে সেই মেয়েই বাবার শাসনকর্ত্রী!
বাবা-মেয়ের এমন গল্প বড় পর্দায় খুব কম বলা হয়েছে বলেই দাবি ‘আয় খুকু আয়’-এর পরিচালক শৌভিক কুণ্ডুর। ছবিতে বাবা-মেয়ে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়-দিতিপ্রিয়া রায়। দিতিপ্রিয়ার মা রফিয়াত রশিদ মিথিলা। এ ছাড়াও আছেন সোহিনী সেনগুপ্ত, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সত্যম ভট্টাচার্য, শঙ্কর দেবনাথ এবং রাহুল দেব বসু। সেই ছবিরই প্রচারে অংশ নিয়ে বাবা রঞ্জিতকে শাসনের সুযোগ পেলেন মেয়ে কোয়েল!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy