মেখলা দাশগুপ্ত। মেখলার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া ছবি।
তিন দিন হয়ে গেল। অথচ দাঁতন থানার পুলিশকর্মীদের আয়োজিত জলসায় মহিলা সঙ্গীত শিল্পীকে হেনস্থার অভিযোগের তদন্তই এখনও সেভাবে শুরু হল না। ওই জলসার আয়োজক সংস্থার সঙ্গে মঙ্গলবার পর্যন্ত যোগাযোগই করে উঠতে পারেনি পুলিশ। কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি।
কালীপুজো উপলক্ষে গত শনিবার রাতে আয়োজিত ওই জলসায় রিয়্যালিটি শো খ্যাত সঙ্গীত শিল্পী মেখলা দাশগুপ্তের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ ওঠে। ফেসবুকে লাইভে গোটা ঘটনা জানাতে গিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তোলেন মেখলা।
অনুষ্ঠানের আয়োজক হিসাবে পরিচয় দিয়ে যিনি ফোন করেছিলেন, সেই সুব্রত রায়ের বিরুদ্ধেও আঙুল তোলেন মেখলা। । আরেক গায়ক অনীক ধরকে আনার নাম করে টাকা নিয়ে ওই আয়োজক ফেরত দেননি বলে অভিযোগ তুলেছেন পুলিশকর্মীদের একাংশ। অনীক অনুষ্ঠানে আসেননি।
আরও পড়ুন: এখনও আমি ওই ট্রমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছি না: মেখলা
পুলিশের অবশ্য দাবি, গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলা পুলিশের নির্দেশ মতো সিসিটিভি ফুটেজ ও অনুষ্ঠানের ভিডিয়ো খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে। যদিও মঙ্গলবার সে কাজে কোনও অগ্রগতি দেখা যায়নি। তদন্তে গড়িমসি দেখে ক্ষুব্ধ মেখলাও। তিনি বলেন, “বারবার তো বলা হচ্চিল বাঁ-দিকে রেসপেক্টেড পুলিশ অফিসার রয়েছেন। আমি নিশ্চিত যাঁরা ওই আচরণ করেছিলেন তাঁরা পুলিশ। কিন্তু পুলিশ তিনদিনেও পদক্ষেপ করল না দেখে অবাক লাগছে। তাছাড়া পুলিশের টাকা নিয়ে যে আয়োজক চম্পট দিল, তার বিরুদ্ধে তো পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’’
আরও পড়ুন: ‘জড়ানো গলায় খারাপ অঙ্গভঙ্গি করছিলেন,’ পুলিশের জলসায় ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা মেখলার
ঘটনার পরদিন ফেসবুক বার্তায় মেখলা দাবি করেছিলেন, যাঁরা তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে দাঁতন থানার কনস্টেবল ও সিভিক ভলান্টিয়াররা ছিলেন। যদিও পুলিশের মত, জলসায় অনেকেই এসেছিলেন। তাই ঠিক কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা খতিয়ে দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy