না! সোনা চৌধুরীকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে আমি চিনি না। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়কের বই ‘গেম ইন গেম’ নিয়ে যে পেজ-থ্রি তোলপাড় হচ্ছে, সেটা চোখে পড়েছে।
সদ্য বারাণসীতে সোনা চৌধুরীর এই বইয়ের উদ্বোধন হয়েছে। আর সেখানে তিনি বলেছেন, কী ভাবে টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচ, সচিব, মহিলা ফুটবলারদের উপর শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতেন। আর সেই শারীরিক নির্যাতন থেকে বাঁচতে ফুটবলাররা নিজেদের সমকামী বলে পরিচয় দিত!
হয়তো এতে অনেকে অবাক হচ্ছেন। অনেকে ভাবছেন লাইমলাইটে আসার জন্য সোনা বাড়িয়ে বলছেন অনেক কিছু। অনেকের মনে প্রশ্ন, সত্যিই কি এমনটাই হয়? কিন্তু আমি এত সহজে সোনাকে অবিশ্বাস করতে পারছি না। কারণ আমি যে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করি সমস্যাটা সেখানেও রয়েছে। তবে আমি নিজে সে ভাবে কখনও ফেস করিনি। মানে, ডিরেক্টলি কাস্টিং কাউচের সমস্যা আমার সঙ্গে কখনও হয়নি।
আমি ফরচুনেট। অনেক ছোট বয়স থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। বড় বড় প্রোডাকশন হাউসের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি প্রথম থেকেই। তাই এ ধরনের প্রবলেম হয়নি। তবে কী জানেন, এমনও অনেক প্রযোজক আছেন যাঁরা মনে করেন, ইন্ডাস্ট্রিকে কিনে রেখে দিয়েছেন। ভালর সঙ্গে সঙ্গে খারাপ লোকও তো প্রচুর রয়েছে। তারা খারাপ ব্যবহার করেছে। ঠিক সেই মুহূর্তে কাজটা আমি ছেড়ে দিয়েছি। আমার অনেক কলিগ আছেন, যাঁরা এই ধরনের সমস্যায় পড়েছে। পার্সোনাল লেভেলে আমার সঙ্গে সেই অভিজ্ঞতা শেয়ারও করেছেন। কিন্তু সেটা ওপেনলি আমি কখনও বলব না। তা হলে তাঁদের অমর্যাদা করা হবে। আমাকে বিশ্বাস করে, বন্ধু ভেবে তাঁরা বলেছে। সেটা আমি সকলের সামনে বলতে পারি না। তবে এটা জোর গলায় বলতে পারি, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এই সমস্যা প্রবল ভাবে রয়েছে। কেন জানেন? কারণ এটা মেল ডমিনেটিং ইন্ডাস্ট্রি। তাই প্রতি পদে পদে মহিলাদের এই সমস্যাটা ফেস করতে হয়।
আমি কিন্তু কখনও চুপ করে থাকিনি। যখনই এমন কিছুর আভাস পেয়েছি, সেটার প্রতিবাদ করেছি। তাই সকলকে একটাই সাজেশন দেব। যদি কোনও অসম্মানজনক ব্যবহার পান, প্লিজ সেটা বলুন। চুপ করে থেকে কোনও লাভ নেই। একটা প্রবলেম অ্যাভয়েড করবেন তো আরও একটা চলে আসবে। অসম্মান তো আপনার নয়, যারা খারাপ ব্যবহার করছে অসম্মান তাঁদের।
আরও পড়ুন, মেয়েদের ফুটবলে যথেচ্ছ যৌন নিগ্রহ, বিস্ফোরক প্রাক্তন ক্যাপ্টেন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy