নুসরত জাহান এবং নিখিল জৈন।
রূপকথার কাহিনিতে চিড় ধরেছে। সময়ের সঙ্গেই সেই চিড় আকার নিয়েছে বড়সড় ফাটলের। নুসরত জাহান-নিখিল জৈনের প্রেমের কাহিনিতে ‘তৃতীয় ব্যক্তি’ হিসেবে উঠে এসেছে যশ দাশগুপ্তের নাম। তবু ভালবাসার দিনে ভালবাসার কাছেই মন ছুটে গেল নিখিলের। অন্তত তেমনটাই বলছে তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্ট।
রবিবার সকাল সকাল ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছেন নিখিল। দেখা যাচ্ছে, পাহাড়ি রাস্তার ধারে একা বসে রয়েছেন তিনি। মুখে মৃদু হাসি, শরীরী ভঙ্গি জুড়ে অপেক্ষার অভিব্যক্তি। যেন কারও পথ চেয়ে বসে রয়েছেন। সত্যিই কি পথ চেয়ে রয়েছেন তিনি? ছবি জুড়ে অপেক্ষার আভাস থাকলেও, তার বিবরণীতে কিন্তু বিপরীত সুর।
নিখিল লিখেছেন, ‘আমি দুঃখিত। তুমি কী কথা দিয়েছিলে আমাকে! দেখতে পাচ্ছি, একজন বদলে গিয়ে অন্য মানুষে পরিণত হয়েছে। আমি এখনও সেই আগের মতোই আছি’।
ভালবাসার দিনে হঠাৎ কার বদলে যাওয়া বিঁধছে নিখিলকে? নুসরতকেই কি আকারে ইঙ্গিতে এই বার্তা দিলেন নিখিল? জল্পনা শুরু হয়েছে নেটমাধ্যমে।
ইনস্টাগ্রামে সদা সক্রিয় নিখিলের অনুরাগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। মন খারাপের আঁচ পেয়ে কমেন্ট বক্স ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে সান্ত্বনা বাক্যে। একজন লিখেছেন, ‘চিন্তা করবেন না। সব ঠিক হয়ে যাবে। আমি জানি আপনি একজন ভাল মানুষ'। কারও কথায় শোনা গেল ক্ষোভের সুর, ‘জীবনটা ব্যুমেরাংয়ের মতো। কর্মে বিশ্বাস রাখুন'। অর্থাৎ নেটাগরিকদের একাংশ ধরেই নিয়েছেন, ভালবাসার দিনে স্ত্রী নুসরতকে উদ্দেশ্য করেই এই পোস্ট নিখিলের।
গত বৃহস্পতিবার ‘ডিকশনারি’র প্রিমিয়ারে নুসরতের সঙ্গে জুটি বেঁধে এসেছিলেন যশ দাশগুপ্ত। একসঙ্গে হাসিমুখে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ছবিও তুলেছেন টলিউডের উঠতি ‘পাওয়ার কাপল’। বড় পর্দা থেকে নেটমাধ্যম, নেটমাধ্যম থেকে মাচা, মাচা থেকে ছবির প্রিমিয়ার। নুসরতের সঙ্গে যশের উপস্থিতি বুঝিয়ে দিচ্ছে তাঁর জীবনের পরিবর্তিত লেখচিত্র।
আর নিখিল?
তাঁর কথা অনুযায়ী, নিখিল রয়েছেন নিখিলেই। ঠিক যেমনটা ছিলেন আগেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy