Nana Patekar and Manisha Koirala, a love story that remains fresh even after break up dgtl
Nana Patekar
ব্রেক আপ হলেও মনীষা কৈরালাকে ভোলেননি নানা পটেকর
বলিউডে রিয়েল লাইফ রোম্যান্সের হরেক কিস্সার মাঝেই এক সময় তুফান তুলেছিল নানা পটেকর আর মনীষা কৈরালার প্রেমকাহিনি। মনগড়া বলিউডি কাহিনি না হলেও তাতে ছিল সব রকমের ফিল্মি মশলাই। প্রেম, বিরহ, আক্রোশ— সবই বাসা বেঁধেছিল নানা-মনীষার রিয়েল লাইফে। তবে সে প্রেম টেকেনি। কেন ভেঙে গেল নানা-মনীষার সম্পর্ক? কী রকমই বা ছিল তাঁদের রসায়ন?
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২০ ১১:৩৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৭
বলিউডে রিয়েল লাইফ রোম্যান্সের হরেক কিস্সার মাঝেই এক সময় তুফান তুলেছিল নানা পটেকর আর মনীষা কৈরালার প্রেমকাহিনি। মনগড়া বলিউডি কাহিনি না হলেও তাতে ছিল সব রকমের ফিল্মি মশলাই। প্রেম, বিরহ, আক্রোশ— সবই বাসা বেঁধেছিল নানা-মনীষার রিয়েল লাইফে। তবে সে প্রেম টেকেনি। কেন ভেঙে গেল নানা-মনীষার সম্পর্ক? কী রকমই বা ছিল তাঁদের রসায়ন?
০২১৭
নানা পটেকরের সঙ্গে মনীষা কৈরালার প্রেমের শুরুটা বোধহয় হয়েছিল পার্থ ঘোষের ফিল্ম ‘অগ্নিসাক্ষী’-র সেটে। ১৯৯৬-এর সেই থ্রিলারের শ্যুটিংয়ের মাঝেই নাকি নানা-মনীষার মধ্যে সারা হয়ে গিয়েছিল মন দেওয়া নেওয়া। তবে সেই কিস্সা নিয়ে তখনকার গসিপ ম্যাগাজিনে তেমন একটা চর্চা হয়নি।
০৩১৭
‘অগ্নিসাক্ষী’-র তৈরির সময় নানা-মনীষার প্রেম চলছিল লোকচক্ষুর আড়ালে। যাকে বলে ছুপকে ছুপকে! দু’জনের সিক্রেট ডেটিংয়ের খবর তাই পেজ থ্রি-র পাতায় ফলাও করে জায়গা নেয়নি। এমনকি তা নিয়ে গুঞ্জনও ছড়ায়নি বলিউডি মহল্লায়।
০৪১৭
নানার সঙ্গে জুটি দানা বাঁধার আগে অবশ্য মনীষার জীবনে ছিলেন বিবেক মুশরান। সুভাষ ঘাইয়ের ওই ব্লকবাস্টার ফিল্ম রিলিজ হয়েছিল ১৯৯১-এ। বিবেক এবং মনীষা— দু’জনেরই প্রথম ফিল্ম। পর্দায় তো বটেই, তার বাইরেও প্রেম জমেছিল হিরো-হিরোইনের মনে।
০৫১৭
বিবেকের সঙ্গে প্রেমের শুরুটা হলেও তা বেশি দিন টেকেনি মনীষার জীবনে। নানার সঙ্গে দেখা হওয়ার আগেই তা ভেঙে গিয়েছিল। সেই বিরহের মাঝেই মনীষার জীবনে এসেছিলেন নানা।
০৬১৭
বলিউডি হিরোর চকোলেট লুকস কখনই ছিল না। তবে স্ক্রিন প্রেজেন্সে যে কোনও বলিউডি হিরোকে এককথায় মাত দিতে পারতেন নানা পটেকর। তাঁর ক্যারিশ্মায় মোহিত হয়েছিলেন মনীষাও। ফলে বিবেকের সঙ্গে সদ্যভাঙা সম্পর্কের ব্যথা ভুলতে সময় লাগেনি তাঁর। সেই শুরু। এর পরের কয়েক বছরে জোরদার প্রেম জমেছিল নানা-মনীষার।
০৭১৭
গোড়ার দিকে নানা-মনীষার প্রেম নিয়ে গুঞ্জন না হলেও তা খুল্লমখুল্লা হতে শুরু করে সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ফিল্ম ‘খামোশি’ তৈরির সময় থেকে। সালটা ১৯৯৬।
০৮১৭
‘খামোশি’-তে মনীষার বিপরীতে সলমন খান। হিরোইনের বাবার চরিত্রে নানা পটেকর। তবে পর্দায় বাইরে গাঢ় হয়েছিল নানা-মনীষার সম্পর্ক। সে সময়ই ফিল্মি ম্যাগাজিনের পাতায় উঠে আসে তাঁদের কিস্সা।
০৯১৭
ভন্সালীর ফিল্মের শ্যুটিংয়ের সময় নানা-মনীষার প্রেমের গুঞ্জনে হাওয়া লেগেছিল। মনীষার প্রতিবেশীরাও জানিয়েছিলেন, হিরোইনের সঙ্গে বেশ সময় কাটাচ্ছেন নানা। হিরোইনের বাড়িতেও নাকি প্রায়শই দেখা যেত নানাকে। যা শুনে একটি সাক্ষাৎকারে নানা বলেছিলেন, “মনীষাও আমার মা এবং ছেলের সঙ্গে সময় কাটায়। মনীষাকে বেশ পছন্দও করে ওঁরা।”
১০১৭
নানা-মনীষার প্রেমের খবরেই যে ফিল্মি ম্যাগাজিন ভরে উঠেছিল, তেমনটাই শুধু নয়। তাঁদের ঝগড়াঝাঁটির খুঁটিনাটিও জায়গা করে নিয়েছিল সেখানে। মনীষাকে নাকি হাজারও বিধিনিষেধের ঘেরাটোপ বেঁধে ফেলেছিলেন নানা। স্বল্পবাস নয়। ফিল্মের পর্দায় হিরোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়া চলবে না। তা সত্ত্বেও নানা-মনীষার সম্পর্কে চিড় ধরেনি সে সময়।
১১১৭
সম্পর্কে এক সময় চিড় ধরেছিল বটে। শোনা যায়, মনীষার সম্পর্কে সিরিয়াস হলেও তাঁকে বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না নানা। মনীষাও নাকি সে সময় জানতেন না, তাঁদের সম্পর্ক কোন দিকে এগোচ্ছে! এই দোলাচলের সময়ই আয়েশা জুলকার সঙ্গে নানাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন মনীষা। তা নিয়ে জলঘোলাও কম হয়নি। শোনা যায়, প্রকাশ্যেই নাকি আয়েশাকে রীতিমতো কটূক্তি করেন মনীষা।
১২১৭
নানার সঙ্গে সম্পর্কে সেখানেই ইতি ঘটে মনীষার। এর পর ধীরে ধীরে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়েও আসেন তিনি।
১৩১৭
সম্পর্ক ভেঙে গেলেও নানা-মনীষার মধ্যে তার রেশ থেকে গিয়েছিল দীর্ঘদিন। তবে এইই মাঝে আলাদা পথে চলা শুরু করেন দু’জনে। এক দিকে, ডেটিং করতে শুরু করেন মনীষা। অন্য দিকে, আয়েশা জুলকার সঙ্গে লিভ-ইন করতে থাকেন নানা।
১৪১৭
মনীষার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে গেলেও তাঁর প্রতি অনুভূতি বোধহয় কমেনি নানার। একটি সাক্ষাৎকারে মনীষাকে নিয়ে নানা বলেছিলেন, “এখানকার সময়ের সবচেয়ে সেনসিটিভ অভিনেত্রী মনীষা। ওকে কারও সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে না। ওঁর সব রয়েছে এবং সেটাই যথেষ্ট।”
১৫১৭
মনীষার সঙ্গে ব্রেক আপ নিয়েও নিজের অনুভূতি মেলে ধরেছিলেন নানা। তিনি বলেছিলেন, “ব্রেক আপের সময়টা খুবই কঠিন ছিল। সে ব্যথা বুঝতে হলে ওই ধরনের অভিজ্ঞতা হতে হবে আপনার। কী যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলাম, তা বলে বোঝাতে পারব না। দয়া করে এ নিয়ে কথা বলবেন না। আমি মনীষাকে মিস করি!”
১৬১৭
ব্রেক আপ নিয়ে নানার মতো এতটা স্পষ্ট ভাবে অবশ্য মুখ খোলেননি মনীষা। তবে একাধিক ডেটিংয়ের পর ২০১০-এ ব্যবসায়ী সম্রাট দহালকে বিয়ে করলেও টিকেছিল মাত্র বছর দুয়েক। এর পর ডিভোর্স।
১৭১৭
নানা-মনীষার সম্পর্ক আর জোড়া লাগেনি। ক্যানসার জয়ের পর মনীষা মন দিয়েছেন অভিনয়ে। আয়েশাকে ছেড়ে নানা ফিরে গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী নীলকান্তির কাছে। তবে দু’জনের রাস্তা আলাদা হয়ে গেলেও নানা-মনীষার প্রেমের কিস্সা এখনও ভেসে ওঠে বহু অনুরাগীর মনে!