সেই ফ্লোর, সেই স্টুডিয়ো। সেখানেই ফের দেখা হল সোনামণি সাহা ও প্রতীক সেনের। যদিও এখনও তাঁরা পরিচিত ‘শঙ্খ মোহর’ জুটি হিসাবে। পাশাপাশি দুটো সোফা। তার এক প্রান্তে সোনামণি, পাশে বসে নতুন ধারাবাহিক ‘শুভ বিবাহ’-এর নায়ক হানি বাফনা। ঠিক তার পাশের সোফায় প্রতীক। তাঁর পাশে ‘উড়ান’ ধারাবাহিকের নায়িকা রত্নপ্রিয়া দাস। পাশাপাশি বসলেও প্রথমে যেন খানিকটা এড়িয়ে গেলেন একে অপরকে। মাঝে আসন ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে বসেন সোনামণি। মিনিট খানেক পরে ফিরে এলেন সেই লাল সোফায়। এ বার একে অপরের দিকে তাকালেন, হাসলেন, কানে কানে হল বাক্য বিনিময়। এত দিন ফের একসঙ্গে, কী কথা হল তাঁদের! দেখা হয়নি অনেক দিন। দেখামাত্রই ভাষা হরালেন সোনামণি। একদা নায়িকার মধ্যে কোন বদল দেখলেন? আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন প্রতীক।
আরও পড়ুন:
এক সময় তাঁদের প্রেমের গুঞ্জনে মুখরিত ছিল টেলিপাড়া। যদিও সেই প্রেমের খবরে প্রকাশ্যে সিলমোহর দেননি তাঁরা। তবে সময় বহমান। একদা চর্চিত জুটির প্রেম ভাঙে। তার পর থেকে সে ভাবে কোথাও দেখা যায়নি তাঁদের। এ বার শহরের এক টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে দেখা হল তাঁদের। কিছুটা সময় পার হতেই হাসিমুখে কুশল বিনিময় করলেন একে অপরের সঙ্গে। সোনামণি জানালেন, দীর্ঘ দিন দেখা হয়নি প্রতীকের সঙ্গে। প্রায় কয়েক মাস পেরিয়ে গিয়েছে। তাই দেখার পর ভাষা হারিয়েছেন। প্রতীক বললেন, ‘‘দেখা হল খুব ভাল লাগছে। মনে হচ্ছে সোনামণি লম্বা হয়ে গিয়েছে। আমাকে বেঁটে লাগছে।’’ সঙ্গে সঙ্গে সোনামণি বললেন, ‘‘অনেক দিন পর দেখল তো তাই মনে হচ্ছে।’’ যদিও প্রতীককে নাকি আগের তুলনায় আরও বেশি সুপুরুষ লাগছে। পাশাপাশি প্রতীকের কেশসজ্জার প্রশংসা করেন অভিনেত্রী। যদিও অনুযোগ প্রতীকের কণ্ঠে, সোনামণি নাকি বর্তমান ধারাবাহিকের নায়ক তেজের সঙ্গেই সর্ব ক্ষণ রয়েছেন। প্রতীককে মোটেই পাত্তা দিচ্ছেন না! প্রতীকের কথায়, ‘‘যেচে পাত্তা নিতে হচ্ছে। তেজ ছাড়া চিনতেই পারছে না।’’ যদিও সোনামণি সঙ্গে সঙ্গে বলেন, ‘‘আমি বলব পুজাকে (‘উড়ান’ ধারাবাহিকের নায়িকা রত্নপ্রিয়া) আরেকটু কাছে টেনে নিতে।’’ অনুষ্ঠানের মহড়ায় মেরুন শাড়িতে সোনামণি যে সুন্দরী, আরও একবার জানালেন প্রতীক। তবে নায়ককে হ্যান্ডসাম বললেও তিনি সন্তুষ্ট নন। সোনামণিকে প্রতীক বলেন, ‘‘ব্লু-ডায়মন্ড বলো আমার পোশাকের সঙ্গে মানানসই।’’ প্রেম ভাঙার পরেও কি বন্ধুত্বের সম্পর্ক রাখা সম্ভব? সেই প্রসঙ্গে সোনামণির সাফ কথা, ‘‘আমি তো কখনওই প্রেমের কথা স্বীকার করিনি। তবে সৌজন্যের সম্পর্ক রাখা অবশ্যই সম্ভব। সময়ের সঙ্গে দু’জন দু’জনকে আরও গভীর ভাবে জেনেছে, চিনেছে। তাই বন্ধুত্ব সব সময় রয়ে যায়।’’